ষোল-অমানি স্থানের যারা প্রধান ব্যক্তি, তাদেরও লিখেছে! সুতরাং বুঝতেই পারছ, ব্যাপার গুরুতর হয়ে দাড়িয়েছে।” পীতাম্বর ঘটক বলিল, “কিন্তু ছোটকৰ্ত্তা, আমি একটা কথা বুঝতে পারলাম না, আপনি এ-অঞ্চলের সমাজপতি বলেই আপনাকে কি এই পত্র লেখা হয়েছে ?” 喂 “এই শোন কথা ! পত্রের ভাবটাই বুঝতে পারলে না হে! আমাকে সমাজে পতিত করবার ভয় দেখিয়েছে। নয়-আনি আর সাত-আনির জমিদারীই মা হয় পৃথক, কিন্তু সামাজিক হিসাবে দেবীপুরের জমিদার বংশের বর্তমান অভিভাবক যে আমিই। সিধু সমাজে কোন অন্তায় করলে সেটা যে আমারই কৃত বলে গণ্য হবে। তবে হা, যদি ওদের সঙ্গে আমাদের সামাজিক সম্বন্ধও না থাকত, তা হলে না হয় বলতে পারতাম যে, নয়-আনির সঙ্গে কোন বিষয়ে আমাদের সম্পর্ক নাই। কিন্তু তা কি বলবার যে আছে । আমিও ক্রিয়াকাণ্ডে ওদের বাড়ী যাই, ওরা ও আসে । তারপর গ্রামের যারা ব্রাহ্মণ আছেন, তাদের কথাও ত ভাবতে হয়। এতে জমিদারী চাল চলে না, এ সামাজিক কথা । এতে গরীব হরিশঙ্কর ভট্টাচার্য্যেরও যে মৰ্য্যাদা, আমারও তাই। সমাজে বড় ছোট নেই—সব সমান। অন্তায় করলে, সামাজিক অপরাধ করলে সকলকেই দণ্ড পেতে হবে, তা তিনি সিদ্ধেশ্বর চাটুষ্যে মনোহর চাটুয্যেই হন, আর যিনিই হন । বুঝলে হে झछेक ?” § পীতাম্বর বলিল “আজ্ঞে, সে কথা ত ঠিক। তবে কথা কি ७२
পাতা:ষোল আনি (জলধর সেন).djvu/৭১
অবয়ব