ষ্ট্যালিন
প্রধান কলকারখানায় ১৮ লক্ষ, কৃষিকার্য্যে ১১ লক্ষ এবং ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলিতে ৪ ১/২ লক্ষ লোক নূতন কাজ পাইল। ফলে বেকার-সমস্যা সম্পূর্ণরূপে তিরোহিত হইল। বিভিন্ন কলকারখানায় উৎপন্ন দ্রব্যের সহিত কৃষিকার্য্যে উৎপন্ন দ্রব্যের পরিমাণ প্রায় ২ গুণ বৃদ্ধি পাইল। জাতীয় রাজস্ব এই চার বৎসরে শতকরা ৮৫ ভাগ বাড়িল এবং শ্রমিকদের বেতন ৮০০ কোটী রুবল হইতে ৩০০০ হাজার কোটী রুবলে গিয়া পৌঁছিল। অশিক্ষিত ও নিরক্ষর রাশিয়ায় ১৯৩০ খৃষ্টাব্দের শেষে শতকরা ৬০ জন এবং ১৯৩৩ খৃষ্টাব্দের শেষে শতকরা ৯০ জন লিখিতে পড়িতে শিথিল। নিরক্ষরতার বিরুদ্ধে এত বড় অভিযান ও তাহার এত দ্রুত সাফল্য পৃথিবীর ইতিহাসে আর কখনও হয় নাই এবং ইহাকেই পুঁজিবাদীদের দালালেরা দেশ-বিদেশে কম্যুনিষ্ট পার্টির ব্যর্থতা বলিয়া প্রচার করিয়াছিল।
শত শত কলকারখানা নবীনভাবে পুনর্গঠিত হইল। অবিশ্বাসী ও সংশয়াতুর শ্রমিক ও কৃষকেরা প্রথমতঃ বিরুদ্ধতা দেখাইলেও ক্রমে ইতিহাস-স্মরণীয় নব-নির্ম্মাণ কার্য্যে যোগ দিল। চার বৎসরে প্রায় ৫০টী নূতন সহর গড়িয়া উঠিল এবং ইহার প্রত্যেকটীর অধিবাসী-সংখ্যা ৫০ হাজার হইতে ২ লক্ষের মধ্যে। এই সকল নূতন সহরে আলো, হাওয়া ও স্বাস্থ্যরক্ষার অতি আধুনিক ব্যবস্থা সমন্বিত গৃহে শ্রমিকেরা বাস করিতে লাগিল। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থ নৈতিক উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে রাশিয়ার জনসংখ্যা প্রতি তিন বৎসরে এক কোটী করিয়া বাড়িতে লাগিল। কেবল শিল্প, বাণিজ্য ও কৃষি নহে, সাহিত্য, সঙ্গীত ও শিল্পকলায় নূতন বিকাশ দেখা গেল। সাহিত্যিক ও লেখকগণ নূতন ভাব ও আদর্শের প্রচারক হইলেন। শিক্ষা জাতীয় হিংস্র লোভ ও
১১২