পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ల్సిo মংবাদ পত্রে সেকালের কথা ( ৮ সেপ্টেম্বর ১৮৩২ । ২৫ ভাত্র ১২৩৯ ) ভাস্কর পুষ্কর }-কাণীর অন্তর্গত দক্ষিণখণ্ডে প্রভাস ও পুষ্কর নামে দুই মঙ্গাষ্ঠীর্থ আছেন বর্ষাকালে প্রায় ৩০ হস্ত পরিমাণে অলক নন্দার জল বৃদ্ধি হইয়া অসিসঙ্গমের বত্ব দিয়া ঐ দুই তীর্থের সহিত প্রবাহপূর্বক সংমিলন হইলে মহ২ ধোগ হয় তাহাকে এদেশের লোক ভাস্কর পুষ্কর কহিয়া থাকেন তাহ ২৪ শ্রাবণাবধি ২ ভাগ্রপধ্যস্ত। ঐ কম তীর্থের মেলা হইয়াছিল পরে জলের হ্রাস হইতেছে এবিধায় তথায় প্রায় কাশীবাসীমাত্রেই এবং নানা দিগদেশীয় লোকে আসিয়া স্নান তৰ্পণ ও দর্শন স্পৰ্শন করিয়াছেন। প্রভাস ও পুঙ্কর তীর্থে স্নানাদি করিলে যাদৃশ ফল জন্মে তাহার অনন্ত গুণ ফল উক্ত রূপ ভাগীরথীর মেলনে স্নানাদি করিলে হয় দ্বিতীয় বারাণসী ক্ষেত্র তৃতীয় অৰ্দ্ধচন্দ্রাকৃতি উত্তরবাহিনী গঙ্গ। চতুর্থ কাশীতে ত্ৰিলোকের তাবৎ তীর্থ সম্পূর্ণরূপে বিরাজমান অতএব কাশীর সদৃশ স্থান স্বৰ্গ মতা পাতালে নাই তথায় সংস্কৰ্ম্ম করিলে কীদৃশ ফল জন্মে তাহা ভগবান শিবই কহিতে পারেন নচেৎ সাধা করে। ( ৮ সেপ্টেম্বর ১৮৩২ । ২৫ ভাত্র ১২৩৯ ) ইন্দ্রদ্ধান্ত্র --কাণীঃইতে শ্ৰদ্যুত বাৰু ব্ৰজমোহন সিংহ চৌধুরীর পত্রের দ্বার অবগতি হইল অরিমুক্ত বারাণসীক্ষেত্রে মণিকর্ণিকার তীরে স্বৰ্য্যবংশজাত অযোধ্যাপতি রাজচক্রবর্তি রাজা ইন্দ্ৰদ্যুম্নকর্তৃক এক শিব স্থাপন দেদীপ্যমান রহিয়াছেন। তিনি ইন্দ্ৰদ্যুম্নেশ্বরনামে বিশ্বসংসারে বিখ্যাত । জ্যৈষ্ঠ ও আষাঢ় মাসে গঙ্গার জল অতিনিম্নভাগে প্রবাহবিশিষ্ট হন বর্ষাকালে তথাহইতে ৩২ দ্বাত্রিংশৎ হস্তপরিমাণে উদ্ধে জলবৃদ্ধি না হইলে উক্ত ইন্দ্রদ্ধামেশ্বরের গাত্রে জলস্পর্শ হয় না এ বৎসর ক্রমেতে লিখিত পরিমাণে জলবৃদ্ধি হইয়া ২৭ শ্রাবণ শুক্রবারে ইন্দ্ৰদ্যুম্নেশ্বর জলমগ্ন হইয়া ২ ভাদ্রপৰ্য্যন্ত জলমগ্ন ছিলেন এইরূপ ইন্দ্ৰদ্যুম্নেশ্বর ধংকালীন হন তৎকালীন তাবৎ কাশীবাসী পুণ্যশাল আবালবৃদ্ধবনিত তথায় উপনীত হইয় আপনাকে ধন্ত বোধ করিয়া স্নান করেন যে ব্যক্তি অতি ভক্তিপূৰ্ব্বক সংযত হইয় সঙ্কল্প করিম স্নান তৰ্পণ পূজা সমাপনস্তে ঐ জলমগ্ন ভগবান ইন্দ্ৰদ্যুমেশ্বরকে প্রদক্ষিণ করেন র্তাহাকে আর ভবে আদিতে হয় না কিন্তু প্ৰদক্ষিণকরা অতিমুকঠিন কারণ ঐ ইন্দ্ৰদ্যুমেশ্বরের বেদির উপরিভাগে স্থরতরঙ্গিণীর অতিবেগবান তরঙ্গ বহিতে থাকে অধিকন্তু তন্মধ্যে ক্ষণে২ জলের হ্রাস বৃদ্ধিও হয় এবং বেদির নিম্নভাগে অগাধ জল প্রদক্ষিণকালে চরণ বিচলিত হইলে এককালে গভীরজলে নিমগ্ন হইতে হয় । অতিবলবান এবং সস্তরণে যে ব্যক্তি সুনিপুণ তিনিই ইন্দ্রদ্ধামেশ্বর সঙ্গমে সম্যকরূপে ফলভাগী হইতে পারেন ।

( ১৫ সেপ্টেম্বর ১৮৩২ ৷ ১ আশ্বিন ১২৩৯ ) জলবৃদ্ধি -গঙ্গার সহিত প্রভাস ও পুৰুরের মেলন প্রতিবৎসর হয় না ৪৫ বৎসবের পর অপর পক্ষের সময়ে হয় ইন্দ্রদ্ধামও ঐরূপ। সন ১২৩০ সালের ১৩ আশ্বিনে গৌড়মগুলে