পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\e৮২ মংবাদ শত্রে লোকালের কথা চিত্রিত কাগজের টুপি ধারণ করাইয়া কণ্ঠদেশে মাল্যস্বরূপ জুতার মালা এবং মুথের এক দিকে কালী অপর দিগে চূণ দেওয়া গেল। তদনন্তর অশ্বারোহণের বিনিময়ে গর্দভে চড়াইয়া তাহারদের মুখ গর্দভের লাঙ্গুলের দিগকে রাখিয়া সহীসের ন্যায় দুই জন মেহতর মস্তকোপরি চামরবৎ ঝাড়ুর বাতাস করিতে লাগিল। পরে চেড়রাওয়ালা এক জন তাহারদের সম্মুখে২ জয়বাদ্যের ন্যায় ঢেড়রা পিটিতে লাগিল এবং যে ভূরি২ লোক ঐ তামাসা দেখিতে আসিয়াছিলেন তাহারদের নিকটে ঐ দস্থ্যরদের কুকৰ্ম্মবিবরণ বর্ণন হইতে থাকিল তাহাতে কোন২ লোক আচ্ছা হইয়াছে বলিতে লাগিল কেহব নানা কটুকাটব্য বলিয়া গালি দিল। স্ত্রী লোকের মুখ ফিরাইয়া হাসিতে লাগিল। এই মহাযাত্র আলিপুরের জেহলখানা অবধি আরম্ভ হইয়া আলিপুরের সাকো পারে খিদিরপুরপর্য্যস্ত গেল পরে খিদিরপুরের সাকো পার হইয়া খিদিরপুর দিয়া আলিপুরের আদালতের নিকট পন্থছিল পরিশেষে জেহেলে গিয়া বিশ্রাম করিল। § ( ২৫ আগষ্ট ১৮৩৮ । ১০ ভাদ্র ১২৪৫ ) শ্ৰীযুত দর্পণ সম্পাদক মহাশয় সমীপেযু —সম্প্রতি হুগলি জিলার মধ্যে বালিগ্রামে এক সভাস্থাপন হইয়াছে ঐ সভাধ্যক্ষ মৰ্য্যাদাবন্ত পাচ জন ভদ্র সন্তান তাহারদিগকে ঐ গ্রামবাসী প্রায় সকল প্রজাবর্গেই মান্ত করে যদি উক্ত গ্রামের মধ্যে স্বাভাবিক লোকদিগের কোন আপত্তি উপস্থিত হয় তবে তৎক্ষণাৎ বাদি প্রতিবাদি উভয়পক্ষ ঐ পঞ্চজনের পঞ্চায়েত প্রার্থনা করে তাহাতে পঞ্চায়েত মহাশয়রা ঐ বিবাদিদিগকে স্বস্থানে আনিয়া প্রমাণ ইত্যাদির দ্বারা প্রমাণ করত নিরপরাধি ব্যক্তি ও সাপরাধি ব্যক্ত হইয়া সৰ্ব্বজন সাক্ষাতে সাপরাধী অপমানিত হয় অর্থাং সকলে নিন্দ ইত্যাদি করে এবং ঐ অপরাধি ব্যক্তি বিচারপতিদিগের গোচরে আপন দোষ হেতুক ক্ষমাপ্রার্থনা করে যদিস্তাৎ সামান্ত অপরাধ হয় তবে তৎক্ষণাৎ দোষি ব্যক্তি ক্ষমা পায় কিন্তু গুরুতর হইলে পঞ্চাএত মহাশয়গণ তাহার এই শাস্তি দেন যে অপরাধি ব্যক্তি যেন কোন স্থানে হুক খাইতে না পারে ও তাহার সহিত কেহ আলাপ না করে । সম্পাদক মহাশয় ইহাতে অতিশয় শাস্তি বোধ করিয়া পুনৰ্ব্বার উক্ত পঞ্চ জনের নিকটে অনেক মিনতি করে এবং উপর উক্ত নিরপরাধি ব্যক্তির হস্তধারণ ইত্যাদি করে তাহাতেই মীমাংসা হয় কিন্তু যদি কেহ ঐ পঞ্চাএত গ্রাহ করে তবে যে প্রকারে তাহার বিবাদ বিচারকর্তার কর্ণগোচর হয় তাহা ঐ পঞ্চজন করেন তাহা হইলে অবজ্ঞাকারি ব্যক্তি শাস্তি পায় ও নানা প্রকার ব্যয় ব্যসন হয় আর পঞ্চাএত মহাশয়গণ কোন২ সাংসারিক বিবাদও ভঞ্জন করেন তাহাতে ভদ্র কন্যার উক্ত মহাশয়দিগকে অতিশয় মান্ত করেন যাহা হউক যদি এই প্রকার পঞ্চজনের পঞ্চাএত পঞ্চ স্থানে হইত তবে শ্ৰীলশ্ৰীযুত বিচারকর্তা মাজিস্ত্রেট সাহেবের এতাদৃশ ক্লেশ কদাচ হইত না ও প্রজাগণের এতাদৃশ অর্থব্যয়ও হইত না কেন না তাহাতে যাহা হবার তাহাই হয় মধ্যে আমলাদিগের পেট ভরে এক্ষণে ঐ পঞ্চাএতের নাম হইয়াছে পঞ্চ ঠাকুরের