পাতা:সংসার (রমেশচন্দ্র দত্ত).pdf/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* eや ংসার । ক্ষমতার অধীন হইয়া নির রয়ারীর রঞ্জনাৰ্থ আলোক বিতরণ করিতেছে । ভারতবর্ষের আধুনিক অধীশ্বরদিগের গৌরব ও ক্ষমতা, প্ৰভূত্ব ও বিলাস দেখিয়া তালপুখুরনিবাসিনী দরিদ্রা বিন্দু বিস্মিত হইলেন। গাড়ী চলিতে লাগিল । দিনের পরিশ্রম বশতঃ সুধা হেমের বক্ষে মস্তক স্থাপন করিয়া নিদ্রিত হইয়া পড়িলেন । বিন্দুও পরিশ্রান্ত হইয়াছিলেন, ছোট সুপ্ত শিশুটিকে ক্রোড়ে করিয়া তিনিও চক্ষু মুদিত কািরয়াছিলেন। শরৎ বড় শিশুকে ক্ৰোড়ে লইয়াছিলেন, জেমচন্ত্রী হস্তধার মস্তকটা ধারণ করিয়া নিস্তন্ধে পথও হুঙ্ক্যাদি দর্শন করিতে লাগিলেন। সন্ধ্যার ছায়ার সঙ্গে সঙ্গেছৈলৈ দুৰ্ভুকঁরণৈক চিন্তা আবিস্তৃত হইতে লাগিল। তাহার উদ্দেশ্য কি সফল ಫ್ರಿ? ? ভবিষ্যতে কি আছে ? শান্ত, নিস্তব্ধ তালপুখুর ত্যাগ করিয়া তিনি অদ্য এই মহানগরীতে আসিলেন, এই সদাচঞ্চল মনুষ্য সমুদ্রের কোনও নিভৃত কন্দরে কি তাঁহার দাড়াইবার স্থান আছে ? একাদশ পরিচ্ছেদ । কলিকাতার বড় বাজার । বিন্দু। ও সুধা, একবার এদিকে এসত বনা। ’ সুধা। কি দিদি, আমাকে ডাক্‌ছ ? বিন্দু। হেঁ বন, ঐ কাপড় কখানা কেচে রেখেছি, ছাদের উপর শুখাতে দাও তা। আমি কুয়ো থেকে দু কলসী জল তুলে