পাতা:সংসার (রমেশচন্দ্র দত্ত).pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ। 8) অনেক জমি পার হইয়া অনেক কৃষকের কৃষি কাৰ্য্য দেখিতে দেখিতে হেমচন্দ্ৰ নিজ জমির দিকে যাইতে লাগিলেন। কিন্তু অদ্যও তাহার জমি দেখা হইল না, পথে তিনি সহসা তাহার স্বাত্তর মহাশয় তারিণী বাবুকে দেখিতে পাইলেন। তারিণী বাবু পূর্বদিন কাৰ্য বশতঃ অন্য গ্রামে গিয়াছিলেন, আদ্য প্ৰত্যুষে বাটী ফিরিয়া আসিতে ছিলেন । হেমচন্দ্ৰ তাহাকে দেখিয়া প্ৰণাম করিলেন, তিনিও আশীৰ্ব্বাদ করিয়া কহিলেন, “এ কি বাবা, এখানে মজুরের সঙ্গে কোথা যাইতেছ। এস ঘরে এস। তবে ভাল আছ ? আমি প্ৰত্যহই মনে করি তোমাকে একবার ডেকে খাওয়াই, তবে কি জান বৰ্দ্ধমান থেকে ছুটী নিয়ে এসে অবধি নানা বিষয় কাৰ্য্যে বিব্রত, আর শরীরও ভাল নাই, আর ছেলে গুলকে টিক টিক করে বলি তোমাকে একবার নিমন্ত্রণ করে আসবে, তা যদি তারা ঘর থেকে একবার বেরয়। তা তুমি একদিন এস খাওয়া দাওয়া করিও ।” হেমচন্দ্ৰ শ্বশুর মহাশয়ের সঙ্গে ফিরিলেন । বলিলেন, “আন্দ্রে তা যাব বৈ কি, আমিও মনে করেছিলাম আজ কালের মধ্যে একদিন দেখা করি, কিছু আবশ্যক আছে। মহাশয়ের যদি অবকাশ থাকে। তবে আজই সন্ধ্যার সময় আসিব । তারিণী। তা তুমি ঘরের ছেলে আবার অবকাশ অনবকাশ কি, যখন আসিবে তখনই দেখা হবে। বাছা TSRSf স্বশুর বাড়ী হইতে এসেছে সেও কতবার বলেছে, বাঘা একবার হেম বাবুকে নিমন্ত্রণ কর না, আর গিল্পী ও তোমার কথা কত বলেন। তা আসবে বৈ কি, এস, আজ সন্ধ্যার সময় এস, কিছু জলযোগ করিও। .