ব্যাকরণের অবশ্যজ্ঞেয় কোন কথাই অপরিজ্ঞাত থাকে না।
ব্যাকরণ পাঠ না হইলে সংস্কৃত ভাষায় অধিকার হয় না। কিন্তু সংস্কৃত ব্যাকরণ সংস্কৃত ভাষায় রচিত। সুতরাং, যাহারা প্রথম ব্যাকরণ পাঠ করিতে আরম্ভ করে তাহারা অধীয়মান গ্রন্থের অর্থ বোধ ও তাৎপর্য্য গ্রহ করিতে পারে না। এই নিমিত্ত, সংস্কৃত ব্যাকরণ পাঠ করিতে এত সময় নষ্ট ও এত কষ্ট হয়। বিশেষতঃ সংস্কৃত কালেজে যাহারা অধ্যয়ন করিতে আরম্ভ করে, তাহারা নিতান্ত শিশু; শিশুগণের পক্ষে সংস্কৃত ভাষা লিখিত সংস্কৃত ব্যাকরণ পাঠ কোন ক্রমেই সহজ ও সুসাধ্য নয়। যাঁহারা ইঙ্গরেজী অধ্যয়ন করেন তাঁহাদের মধ্যেও অনেকেই সংস্কৃত ভাষা শিক্ষা করিতে অত্যন্ত উৎসুক ও অত্যন্ত অভিলাষী হইয়া থাকেন। কিন্তু সংস্কৃত ব্যাকরণ অত্যন্ত দুরূহ ও অত্যন্ত নীরস বলিয়া সাহস করিয়া অধ্যয়নে প্রবৃত্ত হইতে পারেন না। বস্তুতঃ সংস্কৃত ব্যাকরণ ও সংস্কৃত ভাষা উভয়ের পরস্পর সাপেক্ষতা থাকাতেই সংস্কৃত ভাষা শিক্ষা এরূপ দুরূহ হইয়া রহিয়াছে।
অতএব, প্রথমেই সংস্কৃত ভাষা লিখিত সংস্কৃত ব্যাকরণ, এবং ব্যাকরণ সমাপ্ত করিয়াই একবারে রঘুবংশ প্রভৃতি উৎকৃষ্ট কাব্য, পড়িতে আরম্ভ করা কোন ক্রমেই শ্রেয়স্কর বোধ না হওয়াতে, শিক্ষাসমাজের সম্মতিক্রমে এই নিয়ম নির্দ্ধারিত হইয়াছে;