SAR मर्थ । সৰ্বোত্তম ছাত্রী। ভূবিত্রী দেবী নামী gकप्ने उएल औ இது ( লাক কালীঘাটের নিকটে কোন এক স্থানে বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষয়িত্রী নিযুক্ত হইয়াছিলেন। ছোট ছেলে মেয়েদিগকে পড়াইতে কত পরিশ্রম হয়, তাহা তিনি জানিতেন, কিন্তু তিনি বালকবালিকাদিগকে বড় ভাল বাসিতেন। বলিয়া তাহার এ কাজে কিছুমাত্ৰ ভয় হয় নাই। এক দিন রাত্ৰিতে তিনি কৰ্ম্মস্থলে গিয়া উপস্থিত হইলেন এবং দেখিলেন যে স্কুলের নিকটে তাহার জন্য একটী ছোট বাড়ী ঠিক করা হইয়াছে। সাবিত্রী দেবী বাড়ীর মধ্যে প্ৰবেশ করিয়াই দেখিলেন, একজন স্ত্রীলোক প্ৰফুল্লমুখে তাহার জন্য খাবার প্রস্তুত করিতেছেন। তাহাকে দেখিয়া স্ত্রীলোকটী উঠিয়া দাড়াইলেন এবং বলিলেন, — “আসুন, নমস্কার । স্কুলের অধ্যক্ষ আপনার সুবিধার জন্য সব প্ৰস্তুত করিয়া রাখিতে বলেছিলেন । আমার বোধ হয়, সব ঠিক হয়েছে। আমার স্বামী কৰ্ম্মস্থান হইতে বাড়ীতে আসিলে, আপনার জিনিষ সব উপরে তুলিয়া দিয়া আসিবেন ৷”—নুতন শিক্ষয়িত্রী অল্প হাসিয়া বলিলেন, “আপনার আমার জন্য অনেক কষ্ট স্বীকার করেছেন। এ বাড়ীটী বেশ ;—তার মধ্যে এই ঘরটীি সকলের চেয়ে ভাল।” প্ৰতিবেশিনী উত্তর করিলেন,-“এ বাড়ীটী বেশ। এইটী বসবার ঘর, ঐটী রান্নাঘর, আর উপরে দুটী শোবার ঘর আছে। সকলেরই পক্ষে বাড়ীটী সুবিধাজনক, কেবল মহামায়াদেবীর আর মন উঠলো না ।” সাবিত্রী। তিনি বুঝি আগে এই স্কুলের শিক্ষয়িত্রী ছিলেন ? “ছা ! কিন্তু তিনি পল্লীগ্রামে থাকার উপযুক্ত ছিলেন না। তিনি ইচ্ছা করতেন মেয়েরা খুব বেশী বেশী শিখে যাকৃ, কিন্তু তাহার মনের মতন ন হইলে ভয়ানক বকিতেন । আপনার চেহারা দেখে বোধ হয় আপনি ছেলে মেয়েদের সঙ্গে বেশ মিশে চলতে পারবেন। তা, আমি এখন যাই, আমার স্বামীর আসবার সময় হ’ল। আমাদের বাড়ী ওই দেখা যায়। যদি কোন কিছু দরকার হয়, তবে ‘শোভার মা” “শোভার মা' বলে ডাকলেই আসূব ; আর আমার শোভনা আপনার অনেক কাজ করে দেবে ”— এই কথা বলিয়া শোভার মা চলিয়া গেলেন। তিনি চলিয়া গেলে সাধিত্রেী দেবী মনের আনন্দে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিয়া আঙ্গার করিতে বসিলেন । বিদেশে গিয়া কোথায় থাকিব, কেহ ভালবাসিবে কি না, বন্ধুবান্ধব যুঠিবে কি না, আগে এই সকল ভাবনা ছিল, কিন্তু এখন তাহার BDD S DBDD LSDJBD DBB DBD DDB BB KDK যায়, তাহা হইলে আর কিছুই কষ্ট বোধ হইবে না । সাবিত্ৰীদেবী এইরূপ ; ভাবিতেছিলেন, এমন সময় কে দরজার কড়া নাড়িল । তিনি উঠিয়া দরজা খুলিয়া দিলেন এবং দেখিলেন যে একটী ছোট মেয়ে একটী মাছ হাতে কবিয়া দাড়াইয়া আছে। তঁহাকে দেখিয়া মেয়েট বলিল, “ম আপনাকে এই মাছ দিয়াছেন।” শিক্ষয়িত্রী । কেন ? এত কষ্ট ক’রে তোমার মা না পাঠালেও পারতেন তা ? তোমার নাম কি ? বালিকা উত্তর করিল, “আমার নাম শোভন ।” শিক্ষয়িত্রী। ওঃ, তুমি তার মেয়ে। এস বাছা এস । তোমাদের স্কুলের যত খবর জান, আমায় दव्ठ । ጶ፡ শোভন স্কুলের বিষয় যাহা জানিত সমস্তই বলিল ;-মনোরম বসু সব চাইতে ভাল মেয়ে, সুনীতি দেবী পাড়া না পারাতে রোজ কোণে দাঁড়ায় ; সরলতার বড় লজ্জা, কথা বলতে মুখ লাল হ’য়ে উঠে, মাটী থেকে চক্ষু তোলে না ; স্কুলের অধ্যক্ষ বুড়ো মানুষ, তিনি প্ৰায় রোজই
