পাতা:সখা (১ম ২য় ৩য় বর্ষ) - শিবনাথ শাস্ত্রী .pdf/৩৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

YSR | | একটা বড় আগুন করিল, আর মেয়েটাকে | ছেলে মেয়ে হাটিতে শিখিলেই তাহাদিগকে তাহাতে ফেলিয়া তামাসা দেখিতে লাগিল। শেষে তাহার শরীরের অঙ্গারগুলি জলে ফেলিয়া शिक्षा उानिल । আর একটী শিশু মেয়ের মা তাহাকে সমস্ত । রাত্রি মেজেতে ফেলিয়া রাখিল। সকালে মেয়ের | বাবা আসিয়া দেখিয়া তাহাকে ডুবাইয়া মারিবার জন্য জল আনিতে গেল। এর মধ্যে এক জন স্ত্রীলোক আসিয়া এ সব দেখিল। সে মেয়েটার বাবাকে বলিল “তুমি একে মারিও না, একটু অপেক্ষা কর।” এই কথা বলিয়া সে এক জন খ্ৰীষ্টান ধৰ্ম্ম-প্ৰচারিকার কাছে গিয়া খবর দিল । তিনি আসিয়া মেয়েটকে নিতে চাহিলেন । মেয়ের বাবা তাহাতে কোন আপত্তি করিল না, সে ভাবিল আপদ বিদায় হইলেই বঁাচি। বিবি তাহাকে লইয়া আসিলেন, এবং তাহাকে খুব যত্নে মানুষ করিতে লাগিলেন। কিন্তু মেয়েট শীঘ্রই মরিয়া গেল । ছেলে মেয়ে মরিয়া গেলে চীন দেশী লোকেরা মনে কবে যে ছেলের বাবা অথবা তাহার পিতামহ কাহারও নিকট হইতে টাকা ধার করিয়াছিল। এবং তাহা দেয় নাই; সুতরাং সেই লোকটা মরিয়া ইহাদের ঘরে আসিয়া পুনরায় জন্ম গ্ৰহণ করিয়াছিল। এত দিন তাহদের পয়সা খরচ করাইয়া, তাহাদের অন্ন ধ্বংস করিয়া, এখন চলিয়াগিয়াছে। সুতরাং ছেলের অসুখ হইলে তাহাকে খুব যত্ন করা হয়, কিন্তু মরিয়া গেলেই মনে করে যে ঐ রূপ একটা তৃত আসিয়াছিল, তাহাকে যত শীঘ্ৰ ফেলিয়া দেওয়া হয় ততই ভাল। মৃত cलश्ौ दाएँौद्ध बाश्रिद्ध लद्देशां शांछेसांद्र जभव्र | তাহারা বাড়ী ঝাড়ে এবং পটকা পোড়াইয়া ও ঘণ্টা বাজাইয়া ভূত তাড়াইতে চেষ্টা করে। কাজ-করিতে শিখান হয়। চীন দেশের ছেলে মেয়েদিগকে এত বেশী কাজ করিতে হয় যে, বেচারীরা খেলা করিবার সময় পায় না। ছেলে বয়সেই বুড়াদের মত তাহদের মুখ ব্যস্ত ও গম্ভীর হইয়া যায়। ৬৭ বছর বয়স হইলে তাহাদিগকে পড়িতে শিখান হয় । চীন দেশে আমা দের ন্যায় অক্ষরের সাহায্যে শব্দ প্ৰস্তুত করিবার রীতি নাই। সেখানে প্ৰত্যেকটা কথার জন্য এক একটা নূতন চিহ্ন ব্যবহার করিতে হয়। তোমাদের অনেকেই বাজার হইতে পটকা কিনিয়া আনিয়া থাকিবে। পটকার বাক্সের উপরে লাল কাগজে সোণার অক্ষরে কতকগুলি কি আঁকা থাকে তাহা দেখিয়া তোমরা হয় তো মনে করিয়া থাকিবে যে, ঐ বুঝি চীন দেশীয় কোনরূপ গাছের অথবা জাহাজের ছবি। কিন্তু বাস্তবিক উহার এক একটা অক্ষর। ভাষায় যতগুলি শব্দ আছে, ঐ প্ৰকার চেহারা বিশিষ্ট ততগুলি অক্ষরের সঙ্গে পরিচয় হইলে তার পর মনে করিতে পার যে, । ছেলের বর্ণ পরিচয় হইল। সুতরাং তাহাদের অক্ষর পরিচয় হইতেই জীবন যায়। ১৪৷১৫ বছরের হইলে ছেলেকে স্কুলে পাঠাইয়া দেওয়া হয়। স্কুলে যাওয়ার পর হইতে সে খেলা করিতে পরিবে না। সকালে ঘুম হইতে উঠিয়া স্কুলে যাইবে আর সন্ধ্যার সময় তাহার ছুটী হইবে। তার পর কিরূপ গুরু মহাশয়ের নিকট পড়িতে হইবে তাহা চেহারা দেখিয়াই বুঝা যাইতে পারে। চেহারার একটী বিষয় নিয়া বোধ হয়। তোমাদের কিছু গোলমাল লাগিয়াছে ; উহাতে একটা থলিয়া আর একটা নল থাকিবার উদ্দেশ্য । হয় তো অনেকেই বুঝিতে পার নাই। থলিয়াটার । ভিতর কি কি আছে আমি ভাল করিয়া জানি || ; 一轮