পাতা:সঙ্গীতামৃত.pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সঙ্গীতামৃত । సిరి ছনুমান আসি দেখে দ্বারে ; একটা পাখী রেখেছে দ্বার ব্ৰুদ্ধ করে ; অম্নি গরুড় রাখলে বগলে ধরে ; পক্ষীর হ’ল সংস্থার জীবন । দেখে ঘুরিছে সুদর্শন ; মাছি পড়িলে হয় দুই খান ; হনুমান করে অঙ্গুলি অপৰ্ণ ; অন্ধুরীর ন্যায় হ’ল সুদর্শন। সত্যভামাকে কছিলেন ; হনু আদিতেছে আমায় করিতে দরশন ; আমি রাম রূপ হুই এখন ; তুমি সীতা রূপ কর ধারণ | সত্যভামা কহিলেন সীত রূপ দেখি না। কখন ; কেমন করে জানকী রূপ করি ধারণ ; আমি পারিব না কদাচন ॥ ঠাকুর কছিলেন কর পলায়ন ; সিংহাসনের নীচে কর শয়ন; ৰুক্মণীকে কছিলেন নারায়ণ; ৰুক্মিণী তখন সীতা রূপ করিল ধারণ । এমত সময়ে আদি হনুমান ; প্রণাম করে করি স্তবন ; পরে করিতে প্রদক্ষিণ; দেখে সিংহাসনের নীচে সত্যভামা করে শয়ন ॥ হনুমান ভাবিলেন মনে মন ; বুঝি মায়ের করে দিয়েছেন সতিন ; ঠাকুরের নিকট করিলেন নিবেদন ; বুঝি মায়ের করে দিয়াছেন সতিন । নয় হনুমান সতিন নয় ; তোমার মায়ের দাসী হয় ; পলাইয়াছে তোমার ভয় ; ব’ল নারে কুবচন ॥ তখন হনুমান ঠাকুরের সন্মুখে ; গৰুড় ও মুদশনকে রাখিয়া ; এ তিনের আর অপমান করিয়ে ; স্বধামে করিল গমন। দেবদত্ত বলে হরি ; তোমার চাতুরী বুঝিতে নারি ; যে জনে দৰ্প করে তারি ; দৰ্প কর তার চূর্ণ। ওহে দেবনারায়ণ হও পতিত পাবন। ভক্তের জীবন