পাতা:সচিত্র কৃত্তিবাসী রামায়ণ -নয়নচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অরণ্যকাণ্ড ] গোদাবরী-কুলে পঞ্চবটার ভিতরে। কোন বেটা আইল আজি মরিবার স্তরে ॥ দূষণ খরের থানা (১) যমের সমান। যোদ্ধা চৌদ্দ হাজার যাহার পরিমাণ ॥ রাবণেরে নাহি মানে, আমারে না জানে। মরিবার উপায় স্বজিল কোন জনে ॥ বসি সেথা সূপণখা কহে ধীরে ধীরে । আসিয়াছে দুই নর বনের ভিতরে | মুনিতুল্য বেশ ধরে কিন্তু নহে মুনি। সঙ্গে ল’য়ে ভ্রমে এক সুন্দরী কামিনী ৷ এক কার্য্যে গিয়া ভ্রষ্টা কহে আর কাজ। মনের বাসনা, সে কহিতে বাসে লাজ ৷ গেলাম মনুষ্য-মাংস খাইবার সাধে । নাক-কাণ কাটে মোর এই অপরাধে ৷ ছিল চৌদ্দজন যে প্রধান সেনাপতি। যুঝিবারে খর সবে দিল অনুমতি ॥ রামেরে মারিয়া আন লক্ষমণ-সহিত । গৃধ আর কাক খাক তাহার শোণিত। যার ঠাই ভগিনী পাইল অপমান । তার রক্ত-মাংস সবে কর গিয়া পান (২) || লইয়া ঝকড়া শেল মুষল মুদগর। সেনাপতি ধায় যেন যমের কিঙ্কর (৩) | মার মার বলিয়া ধাইল নিশাচর। কোলাহলে পূর্ণিত হইল দিগন্তর। সকলে আইল যথা শ্রীরাম-লক্ষণ । বাহিরে আসিয়া রাম কহেন তখন || ফল-মূল খাই মাত্র বাস করি বনে। বিনা অপরাধে আসি যুদ্ধ কর কেনে ॥ এই মত বিনয়ে কহিল রঘুবর। রামেরে ডাকিয়া বলে, দুষ্ট নিশাচর। তপস্বীর মত থাক কে করে বারণ। ভগিনীর নাক-কাণ কাট কি কারণ ॥ যেই ধৰ্ম্ম করিলি, জীবনে নাহি সাধ । কোন মুখে বলিস্, না করি অপরাধ ৷ তোরা দুই মনুষ্য, আমরা বহু জন । আমাদের অস্ত্রাঘাতে মরিবি এখন | এই মত কহিয়া সে সকল রাক্ষস । করে অস্ত্র বরিষণ করিয়া সাহস । কাটিয়া ঝকড়া, শেল রাক্ষস এড়িল । তা দেখিয়া রামচন্দ্র সমরে মাতিল ৷ এক বাণে রামচন্দ্র কাটেন সকল । খণ্ড খণ্ড হইল সে মুদগর মুষল । চতুর্দশ বাণ রাম পূরেন সন্ধান। চতুর্দশ নিশাচর ত্যজিল পরাণ | নেউটয়া বাণ আইল শ্রীরামের তৃণে । রাক্ষস বিনাশ হয় শ্রীরামের গুণে ॥ কৃত্তিবাস পণ্ডিত বিদিত সৰ্ব্বলোকে । পুরাণ শুনিয়া গীত রচিল কৌতুকে ॥ শ্রীরামের সহিত যুদ্ধার্থ ধর ও দুষণের আগমন । চৌদ্দ জন যুদ্ধে পড়ে স্বপণখা দেখে । ত্ৰাস পেয়ে কহে গিয়া খরের সম্মুখে | যুঝিবারে পাঠাইলা ভাই চৌদ্দ জন । অযশ করিল, না সাধিল প্রয়োজন । যে চৌদ্দ রাক্ষস, পাঠাইলা রণ-স্থান। রামের বাণেতে তার হারাইল প্রাণ || খর বলে, দেখ তুমি আমার প্রতাপ । ঘুচাইব এখনি তোমার মনস্তাপ ৷ S DD SSDD SBBBBSS SDSS DD SSSS0BB BBB BBB BBBB S BASDDSSSSSS SA