পাতা:সচিত্র তীর্থ-ভ্রমণ-কাহিনী (তৃতীয় ভাগ) - গোষ্ঠবিহারী ধর.pdf/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আদিনাথ দৰ্শন যাত্ৰা ) o di বন্ধুতে পরামর্শ করিয়া কোনরূপে সেই দুৰ্গম পথ অতিক্ৰম করিয়া ভগবানের দর্শন লাভ করিতে মনস্থ করিলাম এবং একটা উপযুক্ত লোক আমাদের সঙ্গে দিতে পাণ্ড ঠাকুরকে অনুরোধ করিলাম। তিনি আমাদের আগ্ৰহ দেখিয়া সৌভাগ্যক্রমে বিনা বাধায় কথিত প্ৰস্তাবে সম্মত হইলেন। বলাবাহুল্য, পাণ্ডার উপদেশ মত মাতা ঠাকুরাণী এই দুৰ্গম পথে আদিনাথ দৰ্শন আশা একেবারে পরিত্যাগ করিলেন, ফলতঃ তাহাদিগকে অপরাপর আত্মীয়গণের তত্ত্বাবধানে পাণ্ডার বাটীতে রাখিয়া আমরা কেবল চারি বন্ধুতে আদিনাথ দর্শনের জন্য পর দিবস যথাসময়ে পাণ্ড প্রদত্ত এক ব্ৰাহ্মণের সহিত চট্টগ্রাম যাত্ৰা করিলাম । আদিনাথ দৰ্শন যাত্ৰা বাসাবাটীতে ভগবানের পবিত্ৰ নাম উচ্চারণা করিয়া এখান হইতে সীতাকুণ্ড ষ্টেশনে উপস্থিত হইয়া দেখিলাম, তথায় লোকে লোকারণ্য । এ লাইনে ইণ্টা র ক্লাস গাড়ী অতি অল্পই থাকে, আবার দুই-এক খানি ফাষ্ট ও সেকেণ্ড ক্লাস গাড়ী যাহ থাকে, তাহা সাহেব বিবিতেই পরিপূর্ণ হয়, সুতরাং বাধ্য হইয়া তিন আনায় চিটাগাং ষ্টেশনের টিকিট খরিদ করিয়া তৃতীয় শ্রেণীর কামরায় গরীব নীচ জাতীয় মুসলমানদিগের সহিত একত্রে, বিড়ম্বন ভোগ করিতে করিতে গমন করিতে লাগিলাম, কারণ «ಕೆ সকল লোক ভাতের হাড়ি সঙ্গে করিয়া আপন পুত্র-কন্যাদিগকে আমাদের সহিত একত্রে বসিয়া ভাত খাওয়াইতে লাগিল, যদিও আমরা ইহাতৃে আপত্তি করিলাম, কিন্তু কিছুতেই কোন东外 প্ৰতিকার করতে পারিলাম না ; কেন না। এই রেলগাড়ী মধ্যে পোনের আনা যাত্রীই এই প্ৰকার-তখন আমাদের অনুরোধ কে স্বাক্ষা করিবে ? সে যাহা হউক, কিয়াৎকালের পর আদিনাথের কৃপায়