পাতা:সচিত্র তীর্থ-ভ্রমণ-কাহিনী (তৃতীয় ভাগ) - গোষ্ঠবিহারী ধর.pdf/২৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ത്ത് দর্শন করিয়া নেপালের রাজধানী কাটামুণ্ড সহরে যাইতে মনস্থ করিালাম । যে কুলী লোক আমাদের সঙ্গে ছিল, তাহারা আমাদের দুঃখে । কাতর হইয়া প্ৰাণপণে চেষ্টা করিতে করিতে স্থানীয় চারিখানি কাপেট ংগ্ৰহ করিয়া আনিল । ইহাতে আমরা বিশেষ উপকৃত হইলাম, কারণ রকৃসোল হইতে ভীম পেদী পৰ্য্যন্ত আসিতে যে কিরূপ কষ্টভোগ করিয়াছিলাম, উহা ভুক্তিভোগী না হইলে কেহই অনুমান করিতে পরিবেন। না । এই দুৰ্গম পথ পার হইয়া ভীমপেদীতে উপস্থিত হইলেই আমাদেরি কষ্টের অবসান হইবে – এই রূপই ভরসা ছিল, কিন্তু তা স্থাতেও । বিঘ্ন ঘটিল দেখিয়া কোন প্ৰাণী না হতাশ হয় ? রকৃসোলে যেরূপ খাটোলী পাইয়াছিলাম, উহা তিন ৪: মা বাহকে বহন করে, কিন্তু এখানকার এক খানি কাপে টি চারিজন বাহকে বহন করিয়া থাকে । কাপোটের আকৃতি অনেকটা আমাদের বাঙ্গ লা দেশের নোলার ন্যায় দেখিতে ; ইহার তলদেশ এক খানি কার্পেটে আবৃত থাকে, এই নিমিত্তে ইচ্ছার নাম কার্পেট হইয়াছে । বলা বাহু লৈ], ধনী ব্যক্তি ব্যতীত সাধারণ লোকে এই রূপ কার্পেট আরোহণ করিতে সক্ষম হন না, কারণ ইহার মজুরা অত্যন্ত বেশী । কাৰে । সার মাথার উপর একটা কাটের ঢাকনা, তা হার চারি ধারে ঝালারের মত পদা আছে, - এই কাপেটে শয্যা বিস্তু দ্য করিয়া স্ব সুছন্দে গমনাগমন করিতে পারা যায় । ভীমপেন্দীতে আমাদের সঙ্গী কুলীদিগের প্রাণপণ চেষ্টায় এইরূপ চারিখানি কার্পেট পাইয়া চারি বন্ধুতে , মনের সুখে কাটামুণ্ড সহরের দিকে অগ্রসর হইতে লাগিলাম। কেননা, কার্পেট বাহকেরা আমাদিগকে অশ্বাস দিয়া ছিল যে, তেঁাহারা এখান হইতে এক দিবসের মধ্যে ষ্ট রাজধানীতে পেী ছিয়া দিবে। V এই ভীমপেদী হইতে কার্পেটে আরোহণ করিয়া ’দেখিলাম,