পাতা:সচিত্র তীর্থ-ভ্রমণ-কাহিনী (তৃতীয় ভাগ) - গোষ্ঠবিহারী ধর.pdf/২৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२> ७ তীৰ্থ-ভ্ৰমণ-কাহিনী । ܡܡ= ঘুরিয়া-ফিরিয়া নানা পাৰ্ব্বত্য নদ, নদী, উপত্যকাভূমি অতিক্ৰমপূর্বক থালাঘাট নামক পৰ্ব্বতের উপর দিয়া প্রসারিত হইয়াছে। স্থানটী দাৰ্জিলিং হিমালয়ান রেলপথের অনুরূ? । এই ভয়ান ক স্থানে টেণখানিকে অনুনি দুই হাজার ফিট উচ্চে আরোহণ করিয়া তৎপরে কতকগুলি টানেল অতিক্রমপুৰ্ব্বক রিভার্সিং নামক ষ্টেশনে পৌছিতে হয় । একদিকে ট্ৰেণখানি যেমন উচ্চে আরোহণ করিবে, অপরদিকে সেইরূপ ক্রমশঃ তত নীচে নামিবে । আমি বিশ্বাস্ত সুত্রে অবগত আছি, থালাঘাট পৰ্ব্বতের শিখরদেশটা সমুদ্র পথ হইতে দুই হাজার ফিট উচ্চে অবস্থিত । বন্ধুর কথিত মত ট্ৰেণ খানি নির্দিষ্ট স্থানে পোঁছলে আমরা গাড়ীর ভিতর হইতে দেখিতে পাই লাম, এই পথটা যথার্থই আঁকবাকা, লাইনের উভয় ধারেই গাছপালায় পরিপূর্ণ। স্থানে স্থানে আবার পাহাড়ের গায়ে ঐ সকল জঙ্গলাকীর্ণ ঝোপের পার্শ্বে কত ময়ুর ময়ুরী সগৰ্ব্বে মনের আনন্দে তালে তালে নৃত্য এবং কেওয়া-কে ওয়া রব করিয়া সৃষ্টিকৰ্ত্তার মহিমা প্ৰকাশ করিতেছে। স্থানটী একদিকে যেমন নির্জন, অপরদিকে সেই রূপ নয়নানন্দ দায়ক । এখানকার এই নিভূত স্থানে ট্ৰেণ খানি যখন পিপীলিকার সারিবৎ ধীরে ধীরে ত গ্র্যােসর হইতে লাগিল, তখন সেই দৃশ্য অতি মনোমুগ্ধকর-কোথাও বতের উপরিভাগে সূৰ্য্যকিরণ ঝকমক করিতেছে, অথচ নীচে ছায়ার মত গিরিগাত্ৰে আবৃত, কোথা ও বা পাহাড়ের মাথার উপাসু, খণ্ড খণ্ড সাদা ভাসা মেঘ সকল বায়ুভরে ইতস্ততঃ ধাবিত হইতেছে। কি মনোহর দৃশ্য ! ইহা স্বভাবের এক রমণীয় ভাব ! ইগাতপুরী ষ্টেশন হইতে থালাঘাট পৰ্য্যন্ত যে কয়টা টানেল পার হইলাম, তন্মধ্যে একটী টানেল অতি দীর্ঘ । আমরা ঘড়ি ধরিয়া দেখিয়াছি, এই দীর্ঘ টনেলটা অতিক্ৰম করিতে চারি মিনিট সময় எty