পাতা:সচিত্র রেল অবতার - অনাথবন্ধু সেন.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

তারে জামাইষষ্ঠী।

 পদ্মার ওপারে সবে সেই রেল খুলেছে। প্যাসেঞ্জার গাড়ীর যাতায়াত তখনও আরম্ভ হয় নাই। দিনের মধ্যে একখানা মালগাড়ী যায় ও একখানা মালগাড়ী আসে। কিন্তু ষ্টেশনে লোকের ভিড় দেখে কে! দেশের যত নিম্নশ্রেণীর অশিক্ষিত লোক, কেমন করে ‘দ্যাওতায়’ (দেবতায়) গাড়ী টান‍্ছে, তাই দেখ‍্তে আসে। এঞ্জিনখানাই জীবন্ত—কাজেই সেটাকে দেবতা ভেবে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করে। ড্রাইভার গুলোও তেমনি—লোক দেখ‍্লে, এঞ্জিনখানাকে ফ্যাঁস্ ফোঁস্ করিয়ে তাদের বিস্ময় আরও বাড়িয়ে দেয়। ‘দ্যাওতা’ দেখছে বলে, তাদের কাছ থেকে পয়সা আদায় করে, না দিলে তাড়িয়ে দেয়। আবার যাদের কৌতুহল বড় বেশী—তারা ড্রাইভারকে বেশী পয়সা দিয়ে, এঞ্জিনটার গায়ে একটু হাত বুলিয়ে নেয়। মোট কথা, ড্রাইভারদের তখন পোহাবারো—এক দিনের ‘উপরি আয়’ তাদের মাহিনার চেয়ে কম নয়।

 ষ্টেশনে তখন দুটি বাবু; একজন ষ্টেশন-মাষ্টার ও এক জন তারবাবু। ষ্টেশন-মাষ্টার কায়স্থ; বয়স ৩৫৷৩৬ এর মধ্যে। আর তারবাবুটি—তাঁর বয়স ২০৷২২ এর ভিতর;