বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সটীক মেঘনাদবধ কাব্য - মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৯১৯).pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

[ ৯ ]

সমর্থ হইলেন না। অর্থাভাবে অশেষ যাতনা ভোগ করিতে লাগিলেন, অর্থাগমের জন্য এই সময় তিনি নীতিকবিতা মালা, মায়াকানন ও হেক্টর বধ প্রণয়ন করিলেন। কিন্তু লক্ষ্মী তাঁহার দিকে তাকাইলেন না। ব্যারিষ্টারীতে দিন চলে না দেখিয়া তিনি পঞ্চকোটের রাজার ম্যানেজার হইয়া মানভূম গেলেন। অর্থাভাবজনিত মানসিক ক্লেশে ক্রমে কবির শরীর ভাঙ্গিয়া পড়িল। স্বাস্থ্যরক্ষার্থ প্রথমে কলিকাতায়, তার পর ঢাকায় গেলেন—শরীর সারিল না। কলিকাতায় ফিরিয়া আসিলেন। কিন্তু অর্থাগমের কোন উপায় হইল না। ক্রমে ক্রমে গৃহসজ্জা বিক্রয় করিয়া সম্বল শূন্য হইলেন। এদিকে পত্নী হেনরীয়েটা শয্যাশায়িনী হইলেন। দৈনন্দিন আহারের যাহার সংস্থান নাই, তাহার রোগের ব্যয়ভার চলে কিরূপে? সুতরাং সকলে পরামর্শ করিয়া মধুসূদনকে আলিপুরের দাতব্য চিকিৎসালয়ে পাঠাইলেন। হেন্‌রীয়েটা কন্যা শর্ম্মিষ্ঠার গৃহে মৃত্যু শয্যায় রহিলেন। ১৮৭৬ খৃষ্টাব্দের ২৬শে জুন হেন্‌রীয়েটা পৃথিবীর কাছে চির বিদায় লইলেন, মধুসূদন দাতব্য চিকিৎসালয়ে শেষশয্যায় শুইয়া নীরবে এই সংবাদ শুনিয়া লইলেন। তিন দিন পরে ২৯শে জুন রবিবার বেলা দুইটার সময় অর্থের দারুণ অভাব, মনের যন্ত্রণা, উত্তমর্ণের পীড়ন প্রভৃতি হাত হইতে মুক্ত হইয়া তিনি অমরধামে গমন করিলেন।

 স্বর্গীয় মনোমোহন ঘোষ মহাশয়ের যত্নে ১৮৮৮খৃঃ অব্দের