বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সটীক মেঘনাদবধ কাব্য - মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৯১৯).pdf/১৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২০
মেঘনাদবধ কাব্য

সমল খনির গর্ভে মণি; কিন্তু তারে
পরিষ্কারি রাজ-হস্তে দান করে দাতা!’
“কাঁদিয়া, হাসিয়া, সই, সাজিনু সত্বরে।
হেরিনু অদূরে নাথে, হায় লো, যেমতি
কনক-উদয়াচলে দেব অংশুমালী!
পাগলিনী প্রায় আমি ধাই ধরিতে
পদযুগ, সুবদনে!—জাগিনু অমনি!—
সহসা, স্বজনি, যথা নিবিলে দেউটী,
ঘোর অন্ধকার ঘর; ঘটিল সে দশা
আমার,—আঁধার বিশ্ব দেখিনু চৌদিকে
হে বিধি, কেননা আমি মরিনু তখনি?
কি সাধে এ পোড়া প্রাণ রহিল এ দেহে?”
নীরবিলা বিধুমুখী, নীরবে যেমতি
বীণা, ছিঁড়ে তার যদি। কাঁদিয়া সরমা
(রক্ষঃকুল-রাজলক্ষ্মী রক্ষোবধূরূপে)
কহিলা;—“পাইবে নাথে,জনক-নন্দিনি!
সত্য এ স্বপন তব, কহিনু তোমারে।
ভাসিছে সলিলে শিলা, পড়েছে সংগ্রামে
দেব-দৈত্য-নর-ত্রাস কুম্ভকর্ণ বলী
সেবিছেন বিভীষণ জিষ্ণু রঘুনাথে
লক্ষ লক্ষ বীরসহ। মরিবে পৌলস্ত্য
যথোচিত শাস্তি পাই; মজিবে দুর্ম্মতি