সপত্নী সরে । - با این করিল । অনস্তর লাস সদরে পরীক্ষা করিয়া ডাক্তর সাহেব অতিপ্রায় দিলেন যে প্রেরিত অস্ত্রের আঘাতে প্রাণ বিয়োগ হইয়াছে। ইনস্পেক্টর স্থানীয় তদন্তের রিপোটে প্রকাশ করিয়াছিল যে মৃত স্ত্রীলোকের নামে সবডিবিজনের কাছারিতে অপবাদের নালিশ, হওয়াতে তাহার প্রমাণ হইয়াছিল, ও বিবেচন। इग्न, যে সেই ভয়ে সরে আত্মঘাতিনী হইয়াছে। - গ্রামের মধ্যে ভারী জনরব হইয়া উঠিল।—আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সকলেই শুনিল যে সরো অভিমানে আত্মঘাতিনী হইয়াছে, এবং সকলে খেদ করিতে লাগিল, ও গঙ্গাধরগেজেটের প্রতি দোষারোপ করিল। স্বরের কন্যা শুনিল যে তাহার সপত্নী সরে আত্মহত্যা করিয়াছে, ও মনে মনে কহিল, “ বেশ হয়েছে । যেমন কৰ্ম্ম তেমনি কল ! ” ইহাতে বোধ হয় যে মরিলেও সপত্নীর প্রতি সপত্নীর দ্বেষ যায় না। তদনন্তর সরোর অপমৃত্যু সংবাদ শুনিয়া গেজেট, অতিশয় দুঃখিত হইল, ও মনে মনে করিল যে “সরে মধ্রুয়া নিস্তার পাইল। এখন আমার ভাগ্যে কি হয়, তাহা ভগবান জানেন্” সেই দিন মোকদমার নিদ্ধারিত দিন। দেখিতে দেখিতে বেলা দুই প্রহর হইল। গেজেট মোক্তারকে সঙ্গে লইয়া কাছারিতে উপস্থিত হইল । কাছারিময় কেবল ঐ কথা । কেছ জিজ্ঞাসিল “সরো কেন মরিল” ; কেহ কেহ সিদ্ধাস্ত করিল যে - পৱদানশিন" স্ত্রীলোক হাজতে রছিল। দেখিতে দেখিতে একটা বাজিয়া গেল। মাছেবের ঘোড়া দৃষ্ট হইল। লোক সকল শশব্যস্ত হইল। সাহেব আসিয়া এজলাসে উপবিষ্ট হইলে, উপস্থিত দরখাস্ত সকল পাঠ হইয়া दानीগণের প্রথম “ এজাহার হইল। তদনন্তর সরোর আত্মহত্যার রিপোর্ট শুনানি হইয়া মোকদম হইতে তাহার নাম খারিজ হইল। ও গঙ্গার
