পাতা:সপত্নী সরো.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপত্নীসরে । 8ፃ জিজ্ঞাসিল, “ বীরু, তোমার কত খানি জমী আছে ? " বীরু কছিল, “পশ্চিম মাঠে কতকটা “ ওট বন্দী ” আছে। পূর্ব মাঠে বিঘা চল্লিশেক ভাগযোতে করিয়া থাকি। তদ্ভিন্ন নিজের খাজানার জমীও আছে, আর কিছু কিছু ব্রহ্মোত্তরও চৰিয়া থাকি ”। তাহ শুনিয়া গেজেট, পুনৰ্ব্বার জিজ্ঞাসা করিল, “ঘোষের পো, “ ওটু বন্দীর ” কত টাকা মাল্গুজারী লাগে ?” বীরু কহিল, “তাহার নিয়ম নাই । যে আন্দাজ জমী আবাদ, হয়ে উঠে, ফসলের মুখে তাহাই মাপ হইয়া নিরিখ, মত সেই আন্দাজ, ভূমির মাল্গুজারি দিয়ে থাকি। আর ভাগষোতে যাহা আবাদ করি, তাহার খাজান লাগে না । উৎপন্ন শস্যের অর্ধেক আমি পাই। বাকী অৰ্দ্ধেক যাহার জমী, সেই লয়। খরচখরচা সকলি অামার। কিন্তু, বিশ্বেস মশাই, আমাদের কায়িক শ্রম ও জনমানুষের যে কত খরচা,—ত আপনারা সব জানতে পারেন না “ । গেজেটনে জন্মেও কখন চাবাস করে নাই, এমনি ভাবে বীরুগোপকে কছিল, যে “বাপু, আমরা কিনে আনি খাই, চাকুরি করি,—এই জানি। ও সব আমরা কি জানি ? “ বীরুগোপ কহিল,—“ দেখুন্থ, চোখোশেখ, মাসের রোদে যখন আপনার ঘরে হতে বাহির হতে পারেন না,-তখন আমরা খালি মাথায় মাঠে লাঙ্গল দেই। দু'পুরের পর একবার এক মুটো ভিজে চাল জল খেয়ে যথাকালে ঘরে এসে ভাং খাই। তায় যদি আবার মাটখানা শক্ত হয়, তবেই চাষার আর কষ্টের শেষ থাকে ना । বোশেখ মাসে আকাশপানে রাত্রিদিন চেয়ে থাতে হয়, তাতে খদি দেবত সদয় হয়, তৰেই চাষার মঙ্গল –নচেৎ অনেক কষ্টে মাটিখান ভয়েন্ধ হয়। তার পর বুলিতে জারম্ভ করি। গাছ গুলি কিছু কিছু ডাগর হ'লে निस्कन्८३-अब श्रिफुन् নেই। ও আবশ্যক মতে রোপণ করি। তারপর ছেঁদৱকাৱ হ'লে চাষার