ՅԱ সপত্নী সরে । লাল বনাতের অসিন। এক হাতে পুথি । অপর হাতে এক খানি পাট করা গামোছ। দেখিতে যেন চাপাফুলের বর্ণ। কখকের ভূত্য আসাতে সেই সময়ে একটা গোল হুইয়া উঠিল । স্ত্রীলোকের - কখক অসচেন”—“ কথক আসচেন ’ বলিয়া ব্যস্ত হইল। স্ববর্ণালঙ্কত স্থবেশিত যুবতী নারীর প্রথামতে চিকের অব্যবহিত অস্তরে বসিয়াছিলেন, কখকের আগমন বাৰ্ত্ত শুনিয়া সমুৎসাহে আশু তাহার পূর্ণ দৃষ্টি জন্য স্বক্ষ চিকের কাঠি গুলিন ক্রমশঃ কোমল করে বিচ্ছেদ করিতে লাগিলেন । অপরাপর স্ত্রীলোকের ঠেলাঠেলি করিয়া চিকের নিকটে আইল । কেহ বা কথককে অগ্ৰে দেখিবার জন্য উঠিয়া দাড়াইল। এমত সময় গোস্বামী আসিয়া উপনীত হইলেন। ও পাদ প্রক্ষালন করিয়া ব্যাসীসনে উপবেশন করিলেন। তাহার পর কথারম্ভ হইলে গঙ্গাধর গেজেট, "হরিবোল”—“ হরিবোল” বলিয়া রব করিলে, শ্রোতার হরিধ্বনি দিল, ও শ্ৰীকৃষ্ণের জন্মকাণ্ড ও পুতুনাবধের উপাখ্যান পড়িল । আদিমাধব গোস্বামী বিলক্ষণ স্বরবান ছিলেন । এবং কথকতার এমত কৌশল জানিতেন, যে প্রথম প্রস্তাব ব্যাখ্যা করিতে না করিতেই চারিদিক্ হইতে ধন্যবাদ পাইতে লাগিলেন। এতদ্ভিন্ন পেল যে কত পড়িল, তাহ বলা যায় না। থালা, ঘটী, বাটা, বাটি, ঘড়া, গাডু, এত পড়িল, যে তাহার ঠনঠনানি শব্দে কথকতার স্থান কাসারি পাড়া হইয়। উঠিল। আদিমাধব বস্থদেবের শিশুস্থতকে সাবধানে যমুনা পার করি লেন। নিশি ঘোর অন্ধকার। এবং সে সময় মন্দ মন্দ বৃষ্টিও হইতেছিল । তখন নদী পার হুইবারও কোন উপায় ছিল না। পর দিন নন্দালয়ে পুতুন জাসিয়া শিশুকে স্তন্য পান করাইয় আপনি বিনষ্ট হইল।
