পাতা:সপত্নী সরো.pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

,3 সপত্নী সরো । রয়েচে, তুই গত খাটিয়ে খাছচিস। তবু তুই নরম হোল নে,—কি মেয়ে মা ! যা তুই চলে যা। আমি তোকে চাইনে। ভাত ছড়ালে কাকের অভাব কি ? ” সরে পুনৰ্ব্বার সভয়ে নিবেদন করিল, “মা তুমি কথাটা বুঝে রাগ কর। কত্রী সরোষে কছিলেন, “ কথা কি বুঝবো লো ? তুই মেয়ে মানুষ, অন্দরে থাকিস্,--গেজেটের সঙ্গে তোর এত কি যে দিবানিশি পরামর্শ ?” সরো কছিল, “মা সে কথাই নয়, কেবল সে দিন কুমুদিনী এসে এই সকল কথা লাগিয়েচে । সে আমার সতিনের ভগ্নী কি না,—আমার যাতে মন্দ হয়, দুই ভগ্নীর দিবানিশি সেই চিন্তা । কত্রী কছিলেন, “কুমুদ তেমন মেয়ে নয়;—এমন মেয়ে একটি গায়ের মধ্যে কার বাড়ী দেখা দেখি । অনর্থক তার নিন্দে করিস না”। সরো কহিল “ম দেখ, লোকে ৰলে স্বামী মরিলে দুই সতিনে ভাব হয়, কিন্তু এমনি আমার কপাল, যে বিধবা হয়েও সতিনের কাটা। পুকুর ঘাটে স্নান করবার সময় লক্ষ্মীর সঙ্গে দেখা হয়,—সে এক ঘাটে, আমি এক ঘাটে, তবু ছুতোনতা পেতে লক্ষ্মী কোন্দল করে। মা—এ রোগের ওষুধ কি ? অার দেখ মা,—যদি আমি গেজেটকে কোন কথা লাগিয়ে থাকি, তবে দুটি চক্ষের মাথা খাই,—ও মলেও যেন গঙ্গা না পাই!” প্ৰগল্‌ভ ও সাহসিক সরো এইরূপ বাগাড়ম্বর করিয়া কত্রীকে তরল করিল ; ও শেষ কান্দিতে কান্দিতে কহিল, “মা— যদি আমার প্রতি লোকে এমন করে লাগে, তবে আমি কেমন করে থাকি। কী কহিলেন, “ যা আমি তা বুৰে । এখন তুই ভাণ্ডারে যা ”। দুষ্টমতি সরো কপট রোদন পূর্বক পুরন্ধীকে ধরাবনত প্ৰণাম করিয়া স্বকাৰ্য্যে প্রস্থান করিল, ও ভাণ্ডারে বসিয়া নির্জনে ভাবিতে লাগিল, ও আপন আপনি কহিতে লাগিল, “যদি আমি সেই কুমুদিনী ও লক্ষ্মীমণিকে ইহার প্রতিফলন