পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sly D সবুজ পত্র আষাঢ়, ১৩২৪ তার সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় আমাদের গলির মোড়ে। এ গলিটার প্রধান গুণ ছিল এই যে, আমার মত আনমনা লোক সামনের দিকে না তাকিয়ে, পিঠের দিকে মন না দিয়ে, ডাইনে বঁায়ে ভ্ৰক্ষেপমাত্র না করে ও এখানে নিরাপদে বিচরণ করতে পারে। এমন কি, এখানে সেই পথ-চলুতি অবস্থায় মেরেডিথের গল্প, ব্ৰাউনিঙের কাব্য অথবা আমাদের কোনো আধুনিক বাঙালী কবির রচনাসম্বন্ধে মনে মনে বিতর্ক করে ও অপঘাত মৃত্যু বাঁচিয়ে চলা যায়। কিন্তু সেদিন খামকা একটা প্ৰচণ্ড “হেইয়ো” গৰ্জন শুনে পিঠের দিকে তাকিয়ে দেখি । BDSDBD DBDBBD DBB KEBDD BDBzD DDS BB DBDB পিঠের উপর পড়ে আর কি ! যাঁর গাড়ি তিনি স্বয়ং হাকাচ্চেন, পাশে তঁর কোচমান বসে । বাবু সাবলে দুই হাতে রাশ টেনে ধরেচেন। আমি কোনোমতে সেই সঙ্কীর্ণ গলির পার্শ্ববৰ্ত্তী একটা তামাকের দোকানের হাটু আঁকড়ে ধরে আত্মরক্ষা করলুম। দেখলুম। আমার উপর বাবু ক্রুদ্ধ। কেননা যিনি অসতর্কভাবে রথ হাঁকান অসতর্ক পদাতিককে তিনি কোনোমতেই ক্ষমা করতে পারেন না । এর কারণটা পুর্বেই উল্লেখ করেচি। পদাতিকের দুটিমাত্র পা, সে হচ্চে স্বাভাবিক মানুষ। আর যে-ব্যক্তি জুড়ি হাকিয়ে ছোটে তার আট পা ; সে হল দৈত্য । তার এই অস্বাভাবিক বাহুল্যের দ্বারা জগতে সে উৎপাতের সৃষ্টি করে। দুই পা-ওয়াল মানুষের বিধাতা এই আট পাওয়ালা আকস্মিকাঁটার জন্যে প্ৰস্তুত ছিলেন না। স্বভাবের স্বাস্থ্যকর নিয়মে এই অশ্বরথ ও সারার্থী সলাইকেই যথা সময়ে ভুলে যে তুম। কারণ এই পরমাশ্চৰ্য্য জগতে এর বিশেষ করে মনে রাশবার জিনিস নয়। কিন্তু প্ৰত্যেক মানুষের যে পরিমাণ গোল