পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R O R * efR, Y OR নিত্য কারবার করতে হয়। কিন্তু তার আদি ও অন্ত আমাদের প্ৰত্যক্ষ নয়। সহজ জ্ঞানের কাছে যা অপ্ৰত্যক্ষ অনুমান প্রমাণের দ্বারা তারই জ্ঞান লাভ করা হচ্ছে দর্শন বিজ্ঞানের উদ্দেশ্য । জীবনের আদি অন্ত আমরা জানিনে, এই কথাটাকে ঘুরিয়ে দু রকম ভাবে বলা যায়। এক জীবনের আদিতে আছে জন্ম আর অন্তে মৃত্যুআর এক জীবন অনাদি ও অনন্ত । জীবন সম্বন্ধে দার্শনিক-তত্ত্ব হয়। এর এক পক্ষ নয়। আর এক পক্ষভুক্ত হয়ে পড়ে। বলা বাহুল্য। এ দুয়ের কোন মীমাংসাতেই আমাদের জ্ঞান কিছুমাত্র এগোয় না, অর্থাৎ এ BBDD BD SOLBD DBB DS DD DDBBDS zB D DD জানাই থেকে যায়, আর যা অজানা তা ও সমান অজানা থেকে যায়। সুতরাং এরকম মীমাংসাতে যাদের মনস্তুষ্টি হয় না-তারা প্ৰথমে জীবনের উৎপত্তি ও পরে তার পরিণতির সন্ধানে অগ্রসর হন । মোটামুটি ধরতে গেলে, একথা নিৰ্ভয়ে বলা যায় যে প্ৰাণের উৎপত্তির সন্ধান করে বিজ্ঞান, আর পরিণতির দর্শন । একথা আমরা সকলেই জানি যে, আমাদের দেহও আছে মন ও আছে, আর এ দুয়ের যোগসূত্রের নাম প্ৰাণ । সুতরাং কেউ প্রমাণ করতে চান যে প্ৰাণ দেহের বিকার আর কেউ বা প্ৰমাণ করতে চান যে প্ৰাণ আত্মার বিকার। অর্থাৎ কারও মতে প্ৰাণ মূলতঃ আধিভৌতিক কারও মতে আধ্যাত্মিক। সুতরাং সকল দেশে সকল যুগে জড়বাদ ও আত্মবাদ পাশাপাশি দেখা দেয়-কালের গুণে কখনো এ মত কখনো ও মত প্ৰবল ৷ হয়ে ওঠে । সে মতের গুণে নয়-যুগের গুণে। আমার বিশ্বাস যে একটি তলিয়ে দেখলে দেখা যায় যে, জড়বাদ ও অধ্যাত্মবাদ মুলে একই মত। কেননা উভয়