পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R O সবুজ পত্র বৈশাখ, ১৩২৫ এর পর, বঙ্কিমচন্দ্ৰ যে কোন ভাষার বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করেছিলেন, সে কথা বোধহয় আর কাউকে বুঝিয়ে বলবার দরকার নেই, কেননা তিনি এ স্থলে যথেষ্ট স্পষ্ট কথা বলতে কসুর করেন নি। বাঙ্গলা-গদ্যের আদি লেখকদের কোনৰূপ খাতির রাখাও তিনি আবশ্যক বোধ করেন নি। তার কারণ তিনি চেয়েছিলেন ঐ সাধুভাষাকে মূলে হাব্বাৎ করতে । এবং সেই জন্যই তিনি ৬/প্যারীচাঁদ মিত্রের জায়গান করে” তার প্রবন্ধ সুরু করেন । বঙ্কিমচন্দ্রের নিজের কথা এই :- “টেকচাঁদ ঠাকুর প্রথমে এই বিষবৃক্ষের মূলে কুঠারাঘাত করিলেন।... ... যে ভাষায় সকলে কথোপকথন করে, তিনি সেই ভাষায় “অ্যালালের ঘরের দুলাল” প্ৰণয়ন করিলেন। সেই দিন হইতে শুষ্ক তরুর মূলে জীবনবারি নিষিক্ত হইল।” আমিও সাধুভাষার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করি, কিন্তু অত কড়া কথায় ও চড়া গলায় নয়; তার কারণ, ইংরেজি শিক্ষার আদিম বাবটা আমাদের যুগে অনেকটা মরে এসেছে। তা ছাড়া আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, যে বিষবৃক্ষের মুলে টেকচাঁদ ঠাকুর কুঠারাঘাত করেছিলেন, সেই বৃক্ষের কলমের চারায় আমাদের সাহিত্যজগৎ ছেয়ে গিয়েছে, এবং তারই ফলের অন্তরে পাঠক-সমাজ কাব্যামৃতের রসাস্বাদ লাভ করেন । । ( 8 ) বঙ্কিমচন্দ্রের সমগ্ৰ প্ৰবন্ধটি পাঠ করে অনেকে বলতে পারেন যে, a DBBD DDD DLDBDDD DDDB SDTBBD DDBDBDYDS DBi SL মামলার তিনি যে রায় দিয়েছেন, তাকেই চূড়ান্ত হিসাবে গণ্য করতে হবে- কেননা সে হচ্ছে সাধুভাষার বিরুদ্ধে বিলেত-আপিলের রায় ।