পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ET সবুজ পত্ৰ sta e fiju, »ess ভূপ্তর বোধ হল প্ৰাণই ব্ৰহ্মা। এই রকমে তৃতীয়বারে জানলেন মনই ব্ৰহ্মা। চতুৰ্থ বারে বুঝলেন বিজ্ঞানই ব্ৰহ্ম। অবশেষে শেষবার তপস্যায় এই জ্ঞানে পৌঁছিলেন যে আনন্দই ব্ৰহ্ম। এই হল ভূণ্ডবরুণের গল্প, যাকে বলে “ভাগবী বারুণী বিদ্যা”। এই শ্রীতি সম্বন্ধে শঙ্কর ও অন্যান্য ভাষ্যকারেরা নানা তর্ক তুলেছেন, ‘পঞ্চকোষ বিবেক" নানা রকম সব দুর্বোধ্য জটিলতার অবতারণা করেছেন। কিন্তু এর প্ৰকৃত অথচ সহজ ইঙ্গিতটী কেহই ধরতে পারেন নি। এই উপাখ্যানের প্ৰকৃত তাৎপৰ্য্য কি এই নয় যে গোড়ায় অন্ন থাকলে তবেই শেষ পৰ্য্যন্ত আনন্দ পাওয়া যায় । ইহাই যে শ্রুতির প্রকৃত মৰ্ম্ম ও শিক্ষা তাতে আমার বিন্দুমাত্ৰ সংশয় নেই, এবং একটু বিচার করে দেখলে । বোধ হয় পাঠকেরও কোনও সন্দেহ থাকবে না । কেননা উপাখ্যানটী শেষ করেই শ্রুতি চারটীি পরিচ্ছেদে কেবল অন্নেরই প্ৰশংসা করেছেন । এবং তার মধ্যে এমন সব শ্রীতি আছে যাতে যে-কোনও “ইকনমিষ্টের" প্ৰাণ আহলাদে নৃত্য করে উঠবে। কিন্তু প্ৰকৃত ব্যাপারটা এই যে উপাখ্যানটী পড়লেই বিংশশতাব্দীর সভ্যতার উজ্জ্বল আলোতে ওর প্রকৃত অর্থটা স্পষ্ট ধরা পড়ে ; এবং শঙ্কর প্রভূতি প্ৰাচীন দার্শনিকেরা কেন যে ওর যথার্থ মৰ্ম্ম বুঝতে পারেন নি তার কারণও সুস্পষ্ট হয়ে উঠে। পুর্বেই প্রমাণ করেছি যে ঐ সব দার্শনিকদের সময়ে কোনও অন্নাভাব ও অন্নচিন্তা ছিল না । ७द९ ऊँहिलब्र Cय cकन e historical sense द 'थेडिशनिक অনুভূতি' ছিল না তা যার ঐ sense-বিন্দুমাত্ৰ আছে তিনিই জানেন। সেইজন্য বৈদিক সময় যে তঁদের সময়ের চেয়ে কিছুমাত্র অন্য রকম ছিল এটা তঁরা কল্পনাই করতে পারতেন না । ফলে বৰ্ত্তমান কালে