পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সবুজ পত্ৰ vatfta 9 कार्डिंक, Yvor 8 নিভৃতে বসে একমনে কাজ করছিল। রাজা বল্লেন, তঁর সত্যকার সাখী মিলেচে, কেননা ঐ ছেলেটির সঙ্গেই শরৎ প্ৰকৃতির সত্যকার আনন্দের যোগ-ঐ ছেলেটি দুঃখের সাধনা দিয়ে আনন্দের ঋণ শোধ করচে-সেই দুঃখেরই রূপ মধুরতম। বিশ্বই যে এই দুঃখ-তপস্যায় রাত ;-অসীমের যে-দান সে নিজের মধ্যে পেয়েচে, অশ্রান্ত প্ৰয়াসের বেদন দিয়ে সেই দানের সে শোধ করাচে। প্ৰত্যেক ঘাসটি নিরলস চেষ্টার দ্বারা আপনাকে প্ৰকাশ করচে, এই প্ৰকাশ করতে গিয়েই সে আপন অন্তর্নিহিত সত্যের ঋণ শোধ করাচে । এই যে নিরন্তর বেদনায় তার আত্মোৎসর্জন, এই দুঃখই তা তার শ্ৰী, এই ত তার উৎসব, এতেই ত সে শরৎ প্ৰকৃতিকে সুন্দর করেচে, আনন্দময় করেচে । বাইরে থেকে দেখলে একে খেলা মনে হয়। কিন্তু এ ত খেলা নয়, এর মধ্যে লেশমাত্র বিরাম নেই। যেখানে আপনি সত্যের ঋণশোধে শৈথিল্য, সেখানেই প্ৰকাশে বাধা, সেইখানেই কদৰ্য্যতা, সেইখানেই নিরানন্দ । আত্মার প্রকাশ আনন্দময়, এই জন্যেই সে দুঃখকে মৃত্যুকে স্বীকার করতে পারে-ভয়ে কিম্বা আলন্তে কিম্বা সংশয়ে এই দুঃখের পথকে যে লোক এড়িয়ে চলে জগতে সেইই আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয় । শারদোৎসবের ভিতরকার কথাটাই এই-ও ত গাছ তলায় বসে বসে বাঁশির সুর শোনবার কথা নয় । “রাজা” নাটকে সুদৰ্শন আপন অরূপ রাজাকে দেখতে চাইলে, রূপের মোহে মুগ্ধ হয়ে ভুল রাজার গলায় দিলে মালা, তারপরে সেই ভুলের মধ্যে দিয়ে পাপের মধ্যে দিয়ে,যে-অগ্নিদাহ ঘটালে, যে-বিষম যুদ্ধ বাধিয়ে দিলে, অন্তরে বাহিরে যে ঘোর অশান্তি জাগিয়ে তুললে, তাতেই ত তাকে সত্য মিলনে পৌছিয়ে দিলে। প্ৰলয়ের মধ্যে