পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সবুজ পত্ৰ ზrigal, ატამ পড়ে নি- এই হচ্ছে সীমার মধ্যে অসীমের খেলা-রূপের মাঝে অরূপের প্রকাশ। আর এই হচ্ছে মানুষের আসল সত্যময় রহস্যাটী যা দিয়ে সে তৈরি। এখন আমরা প্রেমের কবিতার মধ্যে চাই এমন কতগুলো কথার সমষ্টি-এমন একটা সুরের ব্যঞ্জন-এমন একটা ভাবের সঙ্গীত যার ভিতর দিয়ে আমরা খবর পাব এই উত্তম প্রেমের। কারণ ঐ দিকেই আমাদের গতি—ঐটেই যে আমাদের সত্য আর ঐটেই যে আমাদের অপ্ৰাপ্ত। যেটার সঙ্গে আমাদের সাক্ষাৎ সম্বন্ধে পরিচয় নেই-সেটার খবর আমরা পেতে চাই কবির অন্তরের ভিতর দিয়ে। কারণ কবি অন্যান্য লোক থেকে কিছু অসাধারণ। আমরা সাধারণ মানুষ যে লোকে যেতে পারিনে কবি সেখানে হামেশাই যাওয়া আসা কচ্ছেন। সুতরাং প্রেমের উৎকৃষ্ট গান বলব। সেই সবকে যা আমাদিকে এই উত্তম প্রেমের অনুভব কতকটা করিয়ে দিতে পারে। আর যে গান যত বেশী করে’-যত গভীর করে’- যত স্পষ্ট করে ঐ ভাব আমাদেকে অনুভব কারয়ে দিতে পারবে সে-গানকে আমরা তত উচ্চে আসন দেব। আর বিদ্যাপতির কাব্যে-বলেছি। ঐ একটি কবিতায় ছাড়া-ঐ জিনিসটা আমরা পাই নৌ-অবশ্য সেটা জোর করে” বলছি নে-সেটা বলছি দুঃখ করে” । ሎ বিদ্যাপতির হয়ে কেউ কেউ একটা কথা বলতে পারেন যে যেখানে মধুর প্রেমের ভিতর দিয়ে আত্মায় আত্মায় মিলন হয়েছে সেখানে তি দেহের মিলন ঘটবেই-সেখানে ত পরস্পরের চোখে পরস্পরের দেহ সুন্দর হয়ে উঠবেই।--সেই রহস্যই ত বিদ্যাপতির কাব্যে আমরা পাই । সত্যি কথা-আত্মার মিলন হ’লে দেহের মিলন হৰেই । কিন্তু যখন এ