পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪ৰ্থ বর্ষ, একাদশ সংখ্যা att V6 VoV) তা ছাড়া চৰ্চা নেই তোমাকে বল্পে কে P অঙ্কশাস্ত্র, রাসায়নিক শাস্ত্ৰ এ সব তো অামাদেরি জিনিস । শচীন। বটে ? আর এই যে রেলগাড়ী চড়ে যাতায়াত কচ্ছেন, ট্রামে চাপছেন, বৈদ্যুতিক আলো ও বাতাস ভোগ কচ্ছেন, এ সবও কি আপনাদের মহৰ্ষির দিয়ে গেছেন নাকি ? হরিদা । দেখা শচীন, তুমি আমাকে যা বলবে বল, কিন্তু আৰ্যঋষিদের সম্বন্ধে কোন শ্লেষ প্রয়োগ ক’র না। তঁরা তোমার ঠাট্টার °d • । শচীন। রেখে দিন। আপনার আর্য্যঋষিদের। তঁরা করেছেন কি ? লোকালয় ছেড়ে এক পাহাড়ে গিয়ে বনে ধ্যান করেছেন ; তাতে লোকের কি এল গেল? আর কাজের মধ্যে করেছেন এই যে বামুন, বৈদ্য, কায়েত, শূদ্র প্রভৃতি সমাজের নানা ভাগ তৈরি করে, মানুষের সঙ্গে মানুষের যাতে চিরকাল একটা প্ৰভেদ্র থাকে, তার একটা পাকা বন্দোবস্ত । হরিদা। পাশ্চাত্য শিক্ষার যে কি বিষময় ফল হয়, তা তোমাদের দেখেই বেশ বোঝা যায়। বৰ্ণভেদ নিয়ে যে এতটা চেচামিচি করা, বলি বৰ্ণভেদ নেই কোথায় ? ইউরোপে নেই ? তাদের মধ্যে बांगून যাদের পয়সা আছে, আর যে হতভাগ্য গরীব সেই শূদ্র, তাকে ছুলে डॉ0 ब्र७ खांड बांग्रे। q খবর রাখা ? শচীন। সে বর্ণভেদ পৃথিবীর সর্বত্র আছে, ভারতবর্ষও বাদ যায় না। আমাদের মধ্যে যার অর্থ বেশী তাকে সম্মান করিনে ? চিরকালই করে এসেছি-কলির ভাগ্যে। আজই যে করি তা নয়। বরং ০ধনীর মান্য আজকাল কমে আসছে। আমাদের মধ্যে আছে দোকার