পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SO मयूख १य बाद, s७३e কিন্তু কেন চলে, কোন দিকে চলে, ওদিকে ত পথের झिरु নেই, কিছু ত দেখতে পাওয়া যায় না ?--না, দেখা যায় না, সব অব্যক্ত । কিন্তু শূন্য ত নয়,-কেননা ঐ দিক থেকেই বঁশির সুর আসূচে। আমাদের চলা, এ চোখে দেখে চলা নয়, এ সুরের টানে চলা । যেটুকু চোখে দেখে চলি, সে ত বুদ্ধিমানের চলাঁ,-তার হিসাব আছে, তার প্রমাণ আছে ; সে ঘুরে ঘুরে কুলের মধ্যেই চলা । সে চলায় কিছুই এগোয় না। আর যেটুকু বাঁশি শুনে পাগল হয়ে চলি, যে চলায় মরা বাঁচা জ্ঞান থাকে না, সেই পাগলের চলাতেই জগৎ এগিয়ে চলেচে । সেই চলাকে নিন্দার ভিতর দিয়ে, বাধার ভিতর দিয়ে চলতে হয়, কোনো নজির মানতে গেলেই তাকে থামৃষ্ণে দাড়াতে হয়। তার এই চলার বিরুদ্ধে হাজার রকম যুক্তি আছে, সে যুক্তি তর্কের দ্বারা খণ্ডন করা যায় না ; তুর এই চলার কেবল একটিমাত্র কৈফিয়ৎ আছে,-সে বলচে ঐ অন্ধকারের ভিতর দিয়ে বাঁশি আমাকে ডাকচে। নইলে কেউ কি সাধ করে আপনার সীমা ডিঙিয়ে যেতে পারে ? যেদিক থেকে ঐ মনোহরণ অন্ধকারের বাঁশি বাজচে, ঐ দিকেই মানুষের সমস্ত আরাধনা, সমস্ত কাব্য, সমস্ত শিল্পকলা, সমস্ত বীরত্ব, সমস্ত আত্মত্যাগ মুখ ফিরিয়ে আছে ; ঐ দিকে চেয়েই মানুষ রাজ্যসুখ জলাঞ্জলি দিয়ে বিবাগী হয়ে বেরিয়ে গেছে, মরণকে মাথায় করে নিয়েচে । ঐ কালোকে দেখে মানুষ ভুলেচে । ঐ কালোর বাঁশিতেই মানুষকে উত্তর মেরু দক্ষিণ মেরুতে টানে, অণুবীক্ষণ দূরবীক্ষণের রাস্তা বেয়ে মানুষের মন দুৰ্গমের পথে ঘুরে বেড়ায়, বারবার মরতে মরতে সমুদ্র-পারের পথ বের করে, বারবার মরতে মরতে আকাশপারের ডান মেলতে থাকে ।