পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

幽 সবুজ পত্ৰ €ांणी, ३७२७ ܟܕܼܵܪ অমিত্ৰাক্ষর একঘরে ছন্দ হইয়া রহিয়াছে; অপরপক্ষে বঙ্কিম গদ্যকে পদ্যের কোঠায় লইয়া যাওয়াতে, তাহা সাহিত্যসমাজের শীর্ষস্থান অধিকার করিয়াছে । “আলালের ঘরের দুলাল” যে বঙ্গসাহিত্যে প্রতিষ্ঠা লাভ করিতে পারে নাই, তাহার কারণ ইহা নহে যে উক্ত গ্রন্থের ভাষা খাটি বাঙ্গল,-ইহার আসল কারণ এই যে, তাহ খাটি গদ্য । অতএব এ কথা নিৰ্ভয়ে বলা যায় যে, পদ্যই হইতেছে বাঙ্গালীজাতির আত্মপ্ৰকাশের স্বকীয় রীতি । এই কারণেই গত একশত বৎসরব্যাপী গদ্যের রাজত্ব সত্ত্বেও-বাঙ্গলায় বার্তমানে গদ্যলেখক অপেক্ষা পদ্যলেখকের সংখ্যা অনেক বেশী। এ কালের যুবকমাত্রেই বলেন যে, তঁহার লেখনী স্পর্শ করা মাত্র তাঁহাদের বুকের ভিতর পদ্য ঠেল মারিয়া ওঠে, এবং সে লেখনী তৎক্ষণাৎ কবিত্বরসের Fountain pen (3 sift & . অবস্থা যখন এইরূপ,-গদ্য যখন আমাদের ধাতে সহিল না,-তখন গদ্যকে স্পষ্টাম্পষ্টি ত্যাগ করিয়া, আমাদের পদ্যের আশ্রয় গ্ৰহণ করাই কর্তব্য। গদ্য সাহিত্য-ক্ষেত্রের রবিশস্য,-বাঙ্গলাদেশের ভিজে মাটি ও জলো হাওয়ায় তাহা তেমন জোর করিতে পারে না। একটু মাথা তুলিতে গেলেই তাহ পদ্যাক্রান্ত হইয়া পড়ে। পদ্যের চর্চা করিলে যে কি সুফল হইবে, নিম্নে তাছা বিবৃত করিতেছি । বৰ্তমানে বাঙ্গলাদেশে সরস্বতীর অবস্থিতি এক স্কুলকলেজে, আর এক পুস্তকে পত্রিকায়।