পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○> ケ मदूऊ °द्ध আশ্বিন ও কাৰ্ত্তিক, ১৩২৩ উভয়পক্ষ চেঁচামেচি গালমন্দ না করে, গায়ের ধুলো ঝেড়ে 52 या । আমার কাছে মনে হয়, এইটেই জাপানের শক্তির মুল কারণ। জাপানী বাজে চোচামেচি ঝগড়াঝাঁটি করে নিজের বলক্ষয় করে না । প্ৰাণশক্তির বাজে খরচ নেই বলে, প্রয়োজনের সময় টানাটানি পড়ে না। শরীর মনের এই শান্তি ও সহিষ্ণুতা, ওদের স্বজাতীয় সাধনার একটা অঙ্গ। শোক দুঃখে, আঘাতে উত্তেজনায়, ওরা নিজেকে ংযত করতে জানে। সেই জন্যেই বিদেশের লোকেরা প্ৰায় বলেজাপানীকে বোঝা যায় না, ওরা অত্যন্ত বেশী গৃঢ়। এর কারণই হচ্চে, এরা নিজেকে সর্বদা ফুটে দিয়ে, ফাঁক দিয়ে গলে পড়তে C3 এই যে নিজের প্রকাশকে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত করতে থাকা,-এ ওদের BDBBLYJ0 DBKS DBS SDD DBB S S BDDS SYBSDBD SDBDBD কোথাও নেই। এই তিন লাইনই ওদের কবি, পাঠক, উভয়ের পক্ষেই যথেষ্ট । এই জন্যেই এখানে এসে অবধি, রাস্তায় কেউ গান গাচে, এ আমি শুনি নি। এদের হৃদয় বারনার জলের মত শব্দ করে না, সরোবরের জলের মত স্তব্ধ। এ পৰ্য্যস্ত ওদের যত কবিতা শুনেচি, সালগুলিই হচ্চে ছবি দেখার কবিতা, গান গাওয়ার কবিতা নয়। হৃদয়ের দাহ এবং ক্ষোভ প্ৰাণকে খরচ করে, এদের সেই খরচ কম। এদের অন্তরের সমস্ত প্ৰকাশ সৌন্দৰ্য-বোধে। সৌন্দৰ্য্য-বোধ জিনিসটা স্বার্থনিরপেক্ষ। ফুল, পাখী, চাদ, এদের নিয়ে আমাদের কঁাদাকাটা নেই। এদের সঙ্গে আমাদের নিছক সৌন্দৰ্য্যভোগের সম্বন্ধ-এর আমাদের কোথাও মারে না, কিছু কাঁড়ে না-এদের দ্বারা আমাদের