পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(7. সবুজ পত্ৰ भlघ, s७३७ সময়ের যে একটা মূল্য আছে এটা আমরা আমাদের দেশে মানি নি। না মানাতেই যে ঠিকেছি একথা বলতে পারি নে। কারণ, কি জন্য যে ঠিকেছি তা ঠিক করতে বৈজ্ঞানিক, ডাক্তার, অর্থনীতিজ্ঞ ও রাজনীতিজ্ঞ প্ৰভৃতির মধ্যে মতভেদ ঘটেছে-কেউ বলেন ম্যালেরিয়া হওয়াতেই দেশের দুরবস্থা, কেউ বলেন ধৰ্ম্মহীন হওয়াতে এই দুরবস্থা, কেউ বা বলেন দেশের সাহিত্যে এত প্ৰেমকবিতার প্রাদুর্ভাব হওয়াতেই দেশের এই দুরাবস্থা। বৃথা সময় নষ্ট করা উচিত নয়। আমাদের দেশে এ সব ধারণা ছিল না, আধিকাংশ জীবনের বিশেষ কোন উদ্দেশ্য ছিল না ব’লে জীবনটাই উদ্দেশ্য হ’ত । তাই তখনকার জীবনের যে बगून आंभांप्रज्ञ হাতে আসে তাতে AEsthetics-এর চেহারা দেখতে * পাই। আমাদের পূর্ব-পুরুষেরা সুবাসিত বারিতে স্নান ক’রে, গাত্রে চন্দন লেপন ক’রে, লীলাকমল, হাতে নিয়ে রাজ-সভায় গিয়ে বসতেন-সেখানেও পোলিটিক্যাল বাকবিতণ্ডা ছিল না । সেখানে হয়ত কোন নুতন কবি কোন নূতন রচনা পাঠ করবেন। কাজের তাড়া নেই-আবশ্যকের উৎপাত নেই। ভেবে দেখুন দেখি বিংশ শতাব্দীতে এমনতর ঘটনা ঘটতে পারে কি না । ধরুন। এই ট্রাম, ছক্কর মোটার গাড়ীতে পূৰ্ণ কলিকাতা সহরে আমরা চন্দনচর্চিত দেহে লীলাকমল হাতে নিয়ে গভর্ণমেণ্ট হাউস, বা টাউনহল বা সিনেটহল অভিমুখে যাচ্ছি। আমাদের কণ্ঠে ফুলের মালা, শ্রবণে মণিকুণ্ডল, কারমূলে সুবৰ্ণ বলয়। ধরুন সিনেটহাউসে রবীন্দ্রনাথ র্তার নূতন কোন কাব্য পাঠ করবেন; তার উচ্চাসনের দুই দিকে রজত দীপাধারে সুগন্ধি তেলের বাতি জ্বলছে, ভেবে দেখুন। যদি এমন একটা ব্যাপার সম্ভবও হত তবে সে কি বিসদৃশ হত; এক রবীন্দ্রনাথ ছাড়া