পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

' ७ दर्श्व, ५° ३९ ८*i कथं 9و পরমাণুতে পরিণত করেছি, সম্ভবতঃ সেই কারণে আমরা মানবদেহের সৌন্দৰ্য্যকে অবজ্ঞা করতে শিখেছি। আমাদের পূর্বপুরুষেরা কিন্তু সে সৌন্দৰ্যকে একটি অমূল্য বস্তু বলে মনে করতেন ; শুধু স্ত্রীলোকের নয়-পুরুষের রূপের উপরও তঁদের ভক্তি ছিল।—যার আলোকসামান্য রূপ নেই, তাকে এদেশে পুরাকালে মহাপুরুষ বলে কেউ মেনে নেয় নি। শ্ৰী, রামচন্দ্ৰ, বুদ্ধদেব, শ্ৰীকৃষ্ণ প্রভৃতি অবতারের সকলেই সৌন্দর্ঘ্যের অবতার ছিলেন। রূপগুণের সন্ধিবিচ্ছেদ করা সেকালের শিক্ষার একটা প্ৰধান অঙ্গ ছিল না। শুধু তাই নয়,-আমাদের পূর্বপুরুষদের কদাকারের উপর এতটাই ঘৃণা ছিল যে, পুরাকালে শূদ্রেরা যে দাসত্ব হতে মুক্তি পায় नि, उद्भि একটুি প্রধান কারণ,-তারা ছিল কৃষ্ণবর্ণ এবং কুৎসিত-অন্ততঃ আৰ্য্যদের চোখে। সেকালের দর্শনের ভিতর অরূপের জ্ঞানের ব্যথা থাকলেও, সেকালের ধৰ্ম্ম রূপজ্ঞানের উপরেই প্রতিষ্ঠিত। পরব্ৰহ্ম নিরাকার হলেও, ভগবান মন্দিরে মন্দিরে মূৰ্ত্তিমান। প্রাচীন মতে নিগুৰ্ণ ব্ৰহ্ম অরূপ, এবং সগুণ ব্ৰহ্মা স্বরূপ । ( ܟܠ ) সভ্যতার সঙ্গে সৌন্দর্ঘ্যের এই ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ থাকবার কারণসভ্য-সমাজ বলতে বোঝায় গঠিত সমাজ। যে সমাজের গড়ন নেই, তাকে আমরা সভ্য-সমাজ বলিনে। এ কালের ভাষায় বলতে হলে, সমাজ হচ্ছে একটি organism ; আর আপনারা সকলেই জানেন যে, সকল organism এক-জাতীয় নয়-ও বস্তুর ভিতর উচুনীচুর প্রভেদ বিস্তর। Organic জগতে protoplasm হচ্ছে সব চাইতে নীচে, এবং