পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৭১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সবুজ পত্ৰ চৈত্র, ১৩২৩ বালিকা-মাতার অস্তিত্ব “না ঘুচবে, ততদিন সন্তানের যথার্থ আদর ও * শিক্ষা কিছুতেই হবে না। মা হবার বয়স হলে, তবেই যথার্থ সন্তানের মৰ্ম্ম বোঝা যায়-তখন স্বভাবতঃই তার প্রতি আসক্তি জন্মায়, তার প্ৰতি যে একটা কৰ্ত্তব্য আছে, সেটা প্ৰত্যেক মায়েই প্ৰাণে প্ৰাণে অনুভব করতে পারে। মূল ধরে শিশুশিক্ষার ব্যবস্থা করতে হলে, মায়ের দিকে প্ৰথমে দেখতে হবে। “মেয়ে হয়েছে” বলে? হতশ্রদ্ধা ও অবহেলা করলে চলবে না। শাঁখ বাজিয়ে, হুলুধ্বনি দিয়ে, মাতৃরূপিণী ক্ষুদ্র শিশুকে সাদরে প্রসন্নমনে কোলে তুলে নিতে হবে। সকল ঘরের সকল জাতির সকল দেশের কল্যাণময়ী হ’ল নারী। যদি বাঙ্গালীর গৌরববৃদ্ধির ক্লামনা থাকে, তবে “মেয়েটা”কেও আদর যত্নকর-সেই মঙ্গলময়ী কল্যাণীর আশীর্বাদে জাতির মঙ্গল, দেশের মঙ্গল হবে । শ্ৰীমতী শরৎকুমারী চৌধুৱাণী ।