পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৭২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূর্ববঙ্গবাসীর উক্তি । ص ہے ) Taber -ത്ത সেদিন কোন একটী বাংলা-পত্রিকাতে দেখলুম, সম্পাদক মহাশয় ভারতীর মাঘ সংখ্যার সমালোচনা করতে গিয়ে রসিকতা করে লিখেছেন, “সাহিত্যের ভাষা-শ্ৰীযুত প্রমথ নাথ চৌধুরী লিখিত । এগারটা দফায় সাধুভাষার, সমর্থক দলকে, কথিত ভাষার প্রচলনেচ্ছ দলের মুখপাত্ৰ স্বরূপে উত্তর দেওয়া হইয়াছে। ফলে যা হউক না। হউক। উত্তর প্রত্যুত্তরে মাসিক মহলের প্রচুর খাদ্য জুটিয়াছে।” এ রকম সম্পাদকদের রসিকতা দেখলে রাগও হয়, দুঃখও হয়। তবে, এই বলে মনকে প্ৰবোধ দেওয়া যায় যে র্যারা কোনও নুতন সত্য প্রচার করতে চান তঁরা চিরদিনই প্ৰথমে এই শ্রেণীর বিদ্ধপের ভাগী হয়ে থাকেন । যাক সে কথা এ সব বাজে রসিকতায় কারও কিছুই যায় আসে না । যারা দোষগুণ বিচার করতে পারে না কিম্বা চায় না, শুধু * পূর্বসংস্কারের বশবৰ্ত্তী হয়ে চলতে চায়, তাদের কোনও কথার যে কিছু মূল্য আছে তার কোনও প্রমাণ নেই। লেখ্য-ভাষা ও কথ্য-ভাষা নিয়ে সাধুপন্থী লেখকগণ অনেক বার অনেক কথা বলেছেন। তঁদের আলোচনার পুনরাবৃত্তি না করে, কথ্য-ভাষার প্রচলনে পুর্ববঙ্গবাসীদের কি কি লাভ ও সুবিধা হতে পারে সে সম্বন্ধে কয়েকটী কথা বলতে চাই ।