পাতা:সবুজ পত্র (দ্বিতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

to সবুজ পত্ৰ পৌষ, ১৩২২ অচল হইয়া আছে বলিয়া নালিশ করি । কিন্তু দুপাও যে চলিয়াছে এইটেই আশ্চৰ্য্য। দেশে এই পরিভাষা তৈরির তাগিদ। কোথায় ? ইহার ব্যবহারের প্রয়োজন বা সুযোগ কই ? দেশে টাকা চলিবেনা। অথচ টাকশাল চলিতেই থাকিবে এমন আবদার করি কোন লজ্জায় ? যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনোদিন বাংলা শিক্ষার রাস্তা খুলিয়া যায় তবে তখন এই বঙ্গসাহিত্যপরিষদের দিন আসিবে। এখন রাস্তা নাই তাই সে হুচট খাইতে খাইতে চলে, তখন চার-ঘোড়ার গাড়ি বাহির করবে। আজি আক্ষেপের কথা এই যে, আমাদের উপায় আছে, উপকরণ আছে,-ক্ষেত্ৰ নাই। বাংলার যজ্ঞে আমরা অন্নসত্ৰ খুলিতে পারি। এই তা সব আছেন আমাদের জগদীশচন্দ্ৰ, প্ৰফুল্লচন্দ্ৰ, ব্ৰজেন্দ্ৰনাথ, মহামহোপাধ্যায় শাস্ত্রী এবং আরো অনেক এই শ্রেণীর নামজাদা ও প্রচ্ছন্ননামা বাঙালী । অথচ যে সব বাঙালী কেবল বাংলা জানে তাদের উপবাস কোনোদিন ঘুচিবে না ? তারা এদের লইয়া গৌরব করিবে কিন্তু লইয়া ব্যবহার করিতে পরিবে না ? বাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসাদে বরঞ্চ সাতসমুদ্র পার হইয়া বিদেশী ছেলে এদের কাছে শিক্ষা লইয়া যাইতে পারে কেবল বাংলা দেশের যে If its Tarta W 3 কাছে বসিয়া শিক্ষা লইবার অধিকার তাদেরই নাই । জাৰ্ম্মানীতে ফ্রান্সে আমেরিকায় জাপানে যে সকল আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয় জাগিয়া উঠিয়াছে তাদের মূল উদ্দেশ্য সমস্ত দেশের চিত্তকে মানুষ করা । দেশকে তারা সৃষ্টি করিয়া চলিতেছে। ৰীজ হইতে অকুরকে, অন্ধুর হইতে বৃক্ষকে তারা মুক্তিদান