পাতা:সবুজ পত্র (দ্বিতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ag সবুজ পত্র চৈত্র, ১৩২২ এই আলোয় ভাসছে। জাহাজের গড়ন যে এমন সুন্দর তা আমি পূর্বে কখনও লক্ষ্য করি নি। তাদের ঐ লম্বা ছিপছিপে দেহের প্ৰতি-রেখায় একটি একটানা গতির চেহারা সাকার হয়ে উঠেছিল ; যে গতির মুখ অসীমের দিকে, আর যার শক্তি অদম্য এবং অপ্ৰতি হত। মনে হল, যেন কোনও সাগর-পারের রূপকথার রাজ্যের বিহঙ্গম-বিহঙ্গমীরা উড়ে এসে এখন পাখা-গুটিয়ে জলের উপর শুয়ে আছে-এই জ্যোৎসার সঙ্গে-সঙ্গে তারা আবার পাখামেলিয়ে নিজের দেশে ফিরে যাবে। সে দেশ ইউরোপ-যে ইউরোপ তুমি-আমি চোখে দেখে এসেছি সে ইউরোপ নয়, কিন্তু সেই কবি-কল্পিত রাজ্য যার পরিচয় আমি ইউরোপীয় সাহিত্যে লাভ করেছিলুম। এই জাহাজের ইঙ্গিতে সেই রূপকথার রাজ্য, সেই রূপের রাজ্য আমার কাছে প্ৰত্যক্ষ হয়ে এল । আমি উপরের দিকে চেয়ে দেখি আকাশ জুড়ে হাজার-হাজার জ্যাসমিন, হথরণ প্রভৃতি স্তবকে স্তবকে ফুটে উঠছে, ঝরে পড়ছে,-চারিদিকে সাদা ফুলের বৃষ্টি হচ্ছে। সে ফুল, গাছপালা সব ঢেকে ফেলেছে, পাতার ফাক দিয়ে ঘাসের উপরে পড়েছে, রাস্তা-ঘাট সব ছেয়ে ফেলেছে। তার পর আমার মনে হল যে, আমি আজ রাত্তিরে কোন মিরাণ্ডা কি ডেসডিমন, বিয়াটিস কি টেসার দেখা পাব এবং তার স্পর্শে আমি বেঁচে উঠিব, জেগে উঠব, অমর হব। আমি কল্পনার চক্ষে স্পষ্ট দেখতে পেলুম যে, আমার সেই f5?-pifers eternal feminine its नून तँछिाग्न অামার জন্য প্ৰতীক্ষা করছে । ঘুমের ঘোরে মানুষ যেমন সোজা-একদিকে চলে যায় আমি