পাতা:সবুজ পত্র (দ্বিতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৰ্ত্তমান বঙ্গ-সাহিত্য । । কৈ { ” অামাদের পক্ষে নব-সাহিত্যের নিন্দা করা যেমন সহজ, প্ৰশংসা করা তেমনি কঠিন । কেননা খ্যাতনামা লেখকদের বিচার - করবার অধিকার যেখানে কারও নেই, সেখানে অখ্যাতনামা লেখকদের উপরে জজ হয়ে বসবার অধিকার সকলেরি অাছে । জন্মাবধি উঠতে বসতে খেতে শুতে যে বস্তুর সুখ্যাতি শুনে আসছি, সে বস্তু যে মহাৰ্য, এ বিশ্বাস অজ্ঞাতসারে আমাদের মনে বদ্ধমূল হয়ে যায়। গুরু-জনদের তৈরী মত আমরা বিনাবাক্যে মেনে নেই, কেননা তা মেনে নেবার ভিতর মনের কোনও খাটুনি নেই । যদি আমরাই চিন্তামাগে ক্লেশ করব তাহলে গুরুর দরকার কি ? আর যদি আমরাই পূজা করব তাহলে পুরোহিতের দরকার কি ? কেননা গুরুপুরোহিতেরা সমাজের হাতে গড়া, মানসিক এবং অধ্যাত্মিক labour saving machines. নব-সাহিত্যের দুৰ্ভাগ্যই এই যে, তা অতীতের ডিপ্লোমা নিয়ে আমাদের কাছে এসে উপস্থিত হয় না । এ সাহিত্যের মূল্য নিৰ্দ্ধারণ করতে হ’লে নিজের অনুভূতি দিয়ে তা যাচাই করতে হয়, নিজের বুদ্ধি দিয়ে তা পরীক্ষা করতে হয় । আমরা ক’জনে সে পরিশ্রমটুকু করতে রাজি ? সুতরাং নব-সাহিত্যের প্রশংসার চাইতে নিন্দাই যে বেশীর ভাগ শোনা যায়, তাতে আশ্চৰ্য্য হবার কোনও কারণ নেই । এই সকল নিন্দাবাদের বিচারসূত্ৰেই . অমঙ্গা প্ৰকারান্তরে নব-সাহিত্যের গুণা গুণের বিচার করতে চাই । নব-সাহিত্যের বিরুদ্ধে প্ৰধান অভিযোগ এই যে, তা অপৰ্য্যাপ্ত ও সস্তা, বিশেষত্বহীন ও প্ৰতিভাহীন, চুটকি ও নকল । আমি একে একে এই সকল অভিযোগের উত্তর দিতে চেষ্টা করব । নব-সাহিত্যের পরিমাণ যে অপৰ্য্যাপ্ত তা অস্বীকার করবার যো

১