পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম বর্ষ, তৃতীয় সংখ্যা এ্যাকটিকাল ১৭৩ শাদা খাতা থেকে কালো খাতায় কখনও বা কাল কালীতে কখনও বা লাল কালীতে নকল করা এবং এইটেই খুব শৃঙ্খলার সহিত করার নামই ত efficiency, আর practical মানে যে কাজ করা কঠিন তাতে হাত না দেওয়া। কাজের চেয়ে কাজের শৃঙ্খলাই যে বড় একথা স্বীকার করা কঠিন, তবুও দেখছি শিক্ষাগুণে efficiency-র আদর্শে আমরা ভারি মােহিত হয়েছি। Idealism নয়, vision নয় efficiency এবং practical হওয়া আমাদের জাতীয় আদর্শ হয়ে উঠেছে। Idealism-কে আমরা অশ্রদ্ধা করতে শিখেছি নেতাদের বলছি Idea দিয়ে কি হবে—Practical কিছু বলতে পার ত বল, লেখককে বলছি ম্যালেরিয়া কিসে দূর হয় সেই কথা লেখ, না হলে ছেড়ে দেও তােমার লেখনী। আজ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা বিভাগ হতে, আফিস বড়। অধ্যাপক এবং কেরাণীর সংখ্যা প্রায় সমান। কলেজে দেখতে পাই আফিস সুচারুরূপে চালানই হচ্ছে অধ্যক্ষের প্রধান কর্তব্য। আফিসের বড়বাবু হওয়ার যােগ্যতাই সব চেয়ে বড় যােগ্যতা। রাজনীতি ক্ষেত্রে দেখছি যে, যারা বিশ ত্রিশ বৎসর নিপুণ ভাবে চেয়ার সাজিয়ে এসেছেন, চাদা আদায় করেছেন অথবা চাদোয়া খাটিয়েছেন, তারা বলছেন তাঁরাই নেতা কারণ তারা practical ! কলেজেও প্রধান কেরাণীর প্রতাপ অধ্যক্ষের চেয়ে কম নয়। স্কুলে Plain living and high thinking সম্বন্ধে অনেক প্রবন্ধ লিখেছি—চাণক্য-শ্লোকে অর্থের অনর্থতা সম্বন্ধে অনেক উপদেশ পেয়েছি এবং জাতীয় আধ্যাত্মিকতা সম্বন্ধে অনেক বক্তৃতা শুনেছি, অথচ আমাদের মনে ভাবী-ভারতবর্ষের যে আদর্শ গড়ে