পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

©ዓß সবুজ পত্ৰ । urtifika, 3veAe তাই হল এ অধিকার প্রমাণের একমাত্র শাস্ত্রীয় প্রথা। তারপর শক্তি থাকলেই যখন ‘অধিকার’ আছে, তখন শক্তির পরীক্ষার অধিকার থেকেও কাউকে বঞ্চিত করা চলে না । পরীক্ষা না করলে ত শক্তিটা ঠিক আছে কিনা তা আগে থেকে অমনি জানিবার উপায় নেই । শেষ পৰ্য্যন্ত ফেল হ’লেও “হলে” ঢোকার অধিকার অস্বীকার করা যায় কেমন করে’ ? গেল চার বছর ধরে।” এই পরীক্ষাটা সারা য়ুরোপ জোড়া চলছে। মমসেনের সৌভাগ্য যে বেঁচে থেকে তঁর প্ৰণালীর ফলটা দেখে যেতে হয় নি। কিন্তু প্ৰাচীন রোমের গুণগানে র্যারা মুখর, আধুনিক জাৰ্ম্মাণির উপর মুখ বাঁকানোর ভঁাদের কোনও অধিকার নেই। কার্থেজ ও মিশর বিজয় যদি রোমের পক্ষে ছিল গৌরবের, তবে বেলজিয়মকে গ্ৰাস করা জাৰ্ম্মাণির পক্ষে আগৌরবের কিসে? আজকার পলিটিক্সে যা হীন, কালকার ইতিহাসে তা মহৎ হয় কোন স্থ্যায়ের জোরে ? এই যে পলিটিকাল শক্তি ও সভ্যতার স্তুতিগান-এ মুলে হ’ল একটা “মায়া” । শঙ্কর ব্যাখ্যা করেছেন মায়ার প্রকৃতি “অধ্যাস’- একের ধৰ্ম্ম অন্যে আরোপ করা। পৃথিবীর আদিযুগ থেকে যখন জাতিতে জাতিতে লড়াই চলে আসছে, আর কোন “লীগ অব নেশনে'-ই তা শেষ হবে বলে’ যখন বোধ হয় না, ( কেননা ‘লীগের’। একটা অৰ্থ হচ্ছে এর ভিতরে যারা আসবে না। তারা শত্ৰু, আর বাইরে.যাদের রাখা হবে তাদের এজমালীতে দমন করা চলবে।) তখন জাতির রাষ্ট্রীয় শক্তি তার আত্মরক্ষার পক্ষে অমূল্য। জাতির প্রাণই। যদি না বঁাচে তবে তার মনের বিকাশও কাজে কাজেই বন্ধ হয়। কিন্তু এই শক্তি যখন আত্মরক্ষায় নয়-পর-পীড়নেই রত থাকে, রক্ষার চেষ্টায় নয়