পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“মৰ্থ, সপ্তম ও অষ্টম সংখ্যা রাম ও খাম :৪৮৩ গায়ে লেগে গেল। তিনি তৎক্ষণাৎ শ্যামের বিরুদ্ধে মানহানীর নালিশ করলেন। দেশময় রৈরৈ হৈ হৈ পড়ে গেল। " যথাসময়ে ফৌজদারী আদালতে শ্যামের বিচার হল। এবং এই সূত্রে রাম তাঁর অ-সাধারণ আইনের জ্ঞান ও অ-সামান্য ওকালক্তিবুদ্ধি দেখাবার একটি অ-পুর্ব সুযোগ পেলেন। রামের জেরার জোরে বাহাজের বলে, আইনের হিকমতে মামলা মাজপথেই ফেসে গেল। রাম নিম্ন আদালতে আইনের যে সব কুটতর্ক তুলেছিলেন, সে তর্ক এখানে তুললে তুমি ভেবড়ে যাবে, কেননা তার মৰ্ম্ম তুমি বুঝতে পারবে না; বেচার মাজিষ্ট্রেটও তার নাগাল পায় নি। তবে এ ক্ষেত্রে তিনি কি রকম বুদ্ধি খেলিয়ে ছিলেন, তার একটা পরিচয় দেই। রাম এই আপত্তি তুললেন যে, ইংরেজের ইংরাজীর যা মানে, শ্যামের ইংরাজির সে মানে করলে, আসামীর উপর সম্পূর্ণ অৰিচার করা হবে। কেননা । শ্যাম যে ভাষা লেখেন সে তঁর নিজস্ব-ভাষা, এক কথায় সে হচ্ছে শ্যামের স্বকৃত-ভঙ্গ ইংরাজি। বাঙলা খুব ভাল না জানলে সে ইংরাজির যথার্থ অর্থ হৃদয়ঙ্গম করা যায় না। ফরিয়াদির সাহেব-কেঁচুলি এ আপত্তির আর কোনও উত্তর দিতে পারলেন না, কেননা তিনি একথা অস্বীকার করতে পারলেন না যে, শ্যামের ইংরাজি ইংলেণ্ডের ইংরাজি নয়। শ্যাম খালাস হলেন। লোকে রাম শ্যামের জয় জয়কার করতে T 1 শ্যাম যে দিন খালাস পেলেন, বাঙলার সেদিন হ’ল-ইংরাজীৱ । বাকে বলে, একটি লাল হরফের দিন। লোকের অমন আনন্দ অমন । উল্লাস, সেদিনের পূর্বে আর কখনও দেখা যায় নি। এমন কি এই ফছকে কলকাতা সহরের লোেকরাও সেদিন যে কাণ্ড । Ve