পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৫১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(S. 8 সবুজ পর্ম পৌষ, ১৩২৫ বৰ্ণ-গন্ধ-স্বাদহীন একটি তথ্য মাত্ৰ ? ইহার কি কোনও “রস” নাই ? ইহা কি কেবলই রঙ্গ-রাসের রহস্যের ব্যাপার, ইহার মধ্যে কি এই বিশ্বের এবং জীবনের আর একটি রহস্যের নিবিড়ত নাই ? অৰ্জ্জুন যেমন তার সুতীক্ষা সায়কের দ্বারা পৃথীকে দীর্ণ করিয়া অতল হইতে রসের উৎসকে উৎসায়িত করিয়া পিপাসু মৃত্যু শয্যাশায়ী ভীষ্মকে তৰ্পণ করিয়াছিলেন, আর্টিষ্টের হাতে তেমনি এই সত্যটি হচ্ছে একটি শর, যা নিখিলেশের মৰ্ম্মকে ভেদ করিয়া । থাকিতে পারে, কিন্তু পিপাসু, আমাদের জন্য নিখিলেশের জীবন হইতে বাহির করিয়াছে সেই সুধা, যা ক্ষতবিক্ষতচিত্ত গ্লানিক্লান্ত মানবের জন্য অতি-দুল্লভ এক সঞ্জীবনী । নিখিলেশের সঙ্গে আমরাও জীবন এবং মৃত্যুর রহস্যকে নমস্কার করি।--যে “দুঃস্বপ্ন” কোথা হ’তে এসে জীবনে বাধায় “গণ্ডগোল”, তার থেকে অদ্ভুত ব্যাথার মধ্যে জাগিয়া উঠিয়া আমরা নিখিলেশের সঙ্গে দেখিতে পাই যাকে নিবিড় করিয়া ধরা BY BD DBDBKSDDYSDB DD DBS K DDS DK DBBB তার সেই বক্রত্ব বা ভগ্নাত্বই একান্তভাবে আমাদিগকে পীড়িত করিবার কারণ হওয়া ঠিক নয়-সে। আয়নায় যাকে প্ৰতিফলিত করার কথা ছিল, তাকে পুর্ণ করিয়া বিম্বিত করার ব্যর্থতাই বেদনার জননী। সে বেদন সমস্ত বিশ্বেরই বেদনা-সে “অতি নিবিড় বেদন বনমাঝে রে, আজি পল্লবে পল্লবে রাজে রে”, সে ব্যথাই ত “সারা নিশি ধরি তারায় তারায় অনিমেষ চোখে নীরবে দাড়ায়” । সমস্ত জড় জগতের যে সুবিপুল ব্যৰ্থতা—চৈতন্যকে স্পষ্ট করিবার, মূৰ্ত্তিমান করিৰার বিফলতা-সে সম্বন্ধে জড় তা নিজে চেতনাহীন। তবু “বাতাস আসে হে মহারাজ গন্ধ মেখে”-মহারাজ নাই