পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৫২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

d: , नच १९ অবরোধের কথা (R) আভ্যন্তরিক শাসনের ভার ছিল হিন্দু-জমিদার বা রাজাদের হাতে । শাসন ও পালনের ভার প্রত্যক্ষ ভাবে ছিল তঁদেরই হাতে। সুতরাং সেই হিন্দু-জমিদার বা রাজাদের এলাকায় মুসলমানেরা হিন্দু-ললনার প্ৰতি অত্যাচার আরম্ভ করুল আর সমস্ত হিন্দুরা জোট বেঁধে তার প্ৰতিকার কল্পে বাঙলার সমস্ত নারী সমাজকে একদিন অন্তঃপুরে অন্তরীণ করল, এটা মানতে মন সরে না । আর যদি ধরেই নেও যে, মুসলমানরা হিন্দু-ললনার উপরে অত্যাচার করত, তাহ’লেও ঐ অত্যাচারের প্রতিবিধান কল্পে তারা তাদের গায়ের বল, হাতের অস্ত্ৰ, বুকের সাহস-সব ঢেকে রেখে তাদের মা বৌ বোনদের উপরে হুকুম জারি করুল যে, তাদের বাইরে যাওয়া নিষিদ্ধ-এ যদি হয় তবে সেটা মানুষের সম্বন্ধে একটা ভীষণ রকমের নতুন Psychology বলতে হবে-যা মান্ধাতার আমল থেকে মানুষের চরিত্র দেখে দেখে মানা কঠিন। বিশেষত মুসলমান কেবল বাঙলাদেশেই ছিল না-অন্য প্রদেশেও ছিল । সুতরাং আমার বিশ্বাস, একথা নির্বিঘ্নে বলা যেতে পারে যে, বাঙালী যদি মুসলমানদের কাছ থেকেই অবরোধ প্ৰথা পেয়ে থাকে, তবে সেটা সে পেয়েছে ভয়ের ভিতর দিয়ে ততটা নয়, যতটা ভক্তির ভিতর দিয়ে । সে যাহোক, ঐ যে ভাদুড়ী বংশের রাম ভাদুড়ী যিনি নবাবের অমুখ পরগণার দেওয়ান, বছরে মাইনে পান হাজার মোহর, দু-পা যেতে হলে র্যার পাল্কী চাই, র্যাকে দেখে সাধারণ অসাধারণ গণ্য নগণ্য সবাই তটস্থ, তার গৃহিণী কাত্যায়নী দেবীর ব্যবহারটা হওয়া চাই নবাব অন্তঃপুৱবাসিনীদের মতো ; কারণ সেইটেই যে আভিজাত্যের চিহ্ন, সেটাই যে বড়মানুষী চাল। তাই কাত্যায়নী দেবীর