পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৫৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

eव वर्ष, नवम अरक्षा। (亿州颈夺Q快 (Y তবে কথাটা একেবারে সত্য বলে গ্ৰাহ করবার পক্ষে কিঞ্চিৎ বাধা আছে। প্রথমত, পলিটিকালি বেড়ে যাবার অর্থটা কি ?-যদি কেউ বলেন যে, আমাদের তুলনায় অপর দেশের লোকের রাজনৈতিক আন্দোলনটা বেশি মাত্রায় ও বেশি জোরে চালাচ্ছে, তাহ’লে তার উত্তর, সে ত প্ৰত্যক্ষ সত্য। কিন্তু রাজনৈতিক আন্দোলনটাই যে জাতীয় জীবনের একমাত্র লক্ষণ, তা অবশ্য নয়। বাঙলার বেশির ভাগ লোক আজকাল রাজনৈতিক আন্দোলনে যোগ দিতে নারাজ বলে’ বাঙলার জাতীয় আত্মা যে ঘুমিয়ে পড়েছে, এ রকম অনুমান একমাত্ৰ প্ৰত্যক্ষদশীরাই করতে পারেন-ধারা বাঙালীর মনের খবর রাখেন, তঁদের পক্ষে ও-রকম সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া অসম্ভব । যদি কেউ জিজ্ঞাসা করেন, সে মনের সন্ধান কোথায় পাওয়া যাবে ?-- তার সহজ উত্তর, এক পলিটিক্স ছাড়া জীবনের অপর সকল ক্ষেত্রেই। যে শিক্ষার ফলে, আমাদের নব মনোভাব জন্মেছে, সে শিক্ষা বাঙলা থেকে অন্তহিত হয় নি; বরং তার প্রসার ও প্রভাব বাঙলাদেশে দিনের পর দিন শুধু বেড়েই চলেছে। সুতরাং বাঙালীর চৈতন্য ইতিমধ্যে জড়ীভূত হয়ে যাবার কোনও কারণ ঘটে নি। তারপর সে চৈতন্যের ক্রমবিকাশ যিনি খুসি তিনি ইচ্ছা করলেই সাহিত্যে বিজ্ঞানে ও কৰ্ম্মক্ষেত্রে দেখতে পাবেন । অবশ্য রাজনীতির কৰ্ত্তাব্যক্তিরা এ সব জিনিষের বড় বেশী খোজ রাখেন না, তঁদের ধারণা যে, রাজনীতিই হচ্ছে জাতীয় জীবন গড়ে তোেলবার একমাত্র উপাদান ও উপায়। লোকের সামাজিক জীবন দেশের রাষ্ট্ৰতন্ত্রের কতটা অধীন, झुांद्र দেশের রাষ্ট্রতন্ত্র লোকের সামাজিক জীবনের কতটা অধীন, এবং এ উভয়ের মধ্যে কাৰ্য্যকারণের কি সম্বন্ধ আছে, সে সব তর্ক এক্ষেত্রে ዓ ©