পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৫৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SeRSR गशू श्रेखा शंह्वन, ७२६ ( R ) আজ সকলেই সকলকে বলিতেছেন, “প্ৰতীকার শিচন্ত্যতাং তাবৎ” অথচ কোথা হইতে যাত্ৰা সুরু করিতে হইবে, নানা হট্টগোলে তা’র ঠাহর পাওয়া যাইতেছে না । আমাদের নাই সেই প্ৰতিভার তেজ, যা বস্তুপুঞ্জকে গলাইয়া এক নিমেষে স্বচ্ছ করিয়া লয়, সেই খরধার বুদ্ধি, যা কঠিন প্রস্তরকে ভেদ করিতে পারে, সেই মনীষা, যা এক ডুবে সমুদয় ব্যাপারের তলদেশে গিয়া পৌঁছায়। আমরা হুতাশে ছুটছুটি করি, আমাদের হাতে সবই হইতেছে জোড়াতাড়িা, কেননা কোন সমস্যার মূল আমরা খুজিয়া পাই না । শত শতাব্দী ব্যাপিয়া জীবন হইতে স্বেচ্ছায় এবং সজ্ঞানে সত্যকে নির্বাসিত করিয়া দিয়া এই লাভ করিয়াছি যে, না পারি। সে কোথায় তাহ বলিতে, না পারি তাকে চিনিতে, যদি বা কোনো শুভ লগ্নে সে দেখা দেয়। রাজনৈতিক ভ্ৰাতৃদ্বয়, রাম ও শুষ্ঠামের, জীবনের মধ্যে আর যাই থাক, সত্য ছিল না । সত্য অতি অভিমানী, এতটুকু অনাদর সে সহিতে পারে না। আমাদের জীবন হইতে সত্য পলায়ন করিয়াছে, তাই আজ আমাদের দৃষ্টি অবরুদ্ধ। নিজেরই তৈরি দেয়ালে নিজেকে ঘেরিয়াছি, সেই দেয়ালই বাহিরে বিস্তীর্ণ হইয়া সকল দিক হইতে আমাদিগকে ঠেকাইতেছে, সেই দেয়ালকে কটুকাটিব্য বলিলে সে একচুল নড়িতেছে না, মাঝে হইতে Cervantes-এর সেই নভেলের নায়কের অভিনয় হইতেছে। ( ৩ ) আমরা কিনা। “অল্প লইয়া থাকি”, অন্ত-ই হইতেছে আমাদের কারবারের মূলধন, তাই অন্ত-র উল্টা করিয়া আমরা অনন্তকে লাভ