পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

4ሻ ቐቑ, ♥†ቐሣ ጓዩዌff আৰ্য্যামি o o ) কেননা লক্ষণগুলি হ’ল বাহ্যিক অর্থাৎ প্ৰত্যক্ষ, আর গুণগুলি হ’ল নিগুঢ় অর্থাৎ আনুমানিক। প্ৰত্যক্ষ নিয়ে তর্ক চলে না, আর তর্কের ভুমিই হ’ল অনুমান। এবং তর্ক জিনিষটার সুবিধা এই যে, এ ব্যাপারে পরাজয় নির্ভর করে বিপক্ষের শক্তির উপর নয়, নিজের ইচ্ছার উপরে। নিজে স্বীকার না করলে তর্কে হার হয়েছে, এ অবশ্য কেউ প্ৰমাণ করতে পারবে না। কেননা সেইটিই হবে। আবার একটা তর্কের বিষয় । ব্যক্তির অহঙ্কারের চেয়ে সমষ্টির অহঙ্কারের একটা শ্রেষ্ঠত্ব এই যে, এক এক যা নিয়ে কোনও রকমেই অহঙ্কার করা চলে না, দল বেঁধে তাকেই একটা দুৰ্জয় অহঙ্কারের কারণ করে” তোলা যায়। এক যুগের ফরাসীরা সে যুগের ইংরেজদের বুদ্ধি-সুদ্ধিতে বিশেষ মুগ্ধ না হয়ে, তাদের নাম দিয়েছিল ‘জন বুল”। আজ ইংলণ্ডের খবরের কাগজ লেখকেরা এই নামটাকেই একটা উৎকট জাতীয় অভিমান প্ৰকাশের রাস্তা করে’ তুলেছে। এ জাতির বুদ্ধি যে একটু মোটা বলে’ বোধ হয়, তার কারণ এ বুদ্ধি হালকা নয়, গুরুতর রকমের ভারী ; এতে যে বেশি ঢেউ খেলে না, এর অতলস্পর্শ গভীরতাই হ’ল তার কারণ ; এ জাত যে চট্ট করে? একটা ‘থিওরী” কি ‘আইডিয়েল’ নিয়ে মেতে ওঠে না তার কারণ এদের স্থির "প্র্যাকটিকাল’ বুদ্ধি ; ফরাসির মত এদের সাম্য ও স্বাধীনতা একদিনে কুড়িয়ে পাওয়া নয়, কারণ নিজীরের পর নজীর ধরে ক্রমশ এর আয়তন বৃদ্ধি হচ্ছে, সেইজন্য গতিটা একটু মন্থর। কিন্তু আমার সন্দেহ হয় যে, “জনবুলত্বের” এত গুণব্যাখ্যান সত্বেও কোনও ইংরেজ এটা স্বীকার করতে রাজী হবে কিনা, তার নিজের বুদ্ধিটা আপাতদৃষ্টিতেও একটু মোটা, যতই গুরুত্ব এবং গভীরতা সে