পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭৮ সবুজ পৰ জ্যৈষ্ঠ, ১৩২৫ ( ৯ ) আচাৰ্য হেলমহােলৎস একবার গর্ব করিয়া বলিয়াছিলেন অৰ্মাণ বৈজ্ঞানিক সত্যের সন্ধান করে, সে সত্য ঘরকন্নর কাজে লাগিবে কিনা সে চিন্তা তার নয়। আজ জার্মাণিতে কি সুর বাজিতেছে জানিনা। কিন্তু এটা নিশ্চয় যে, জ্ঞানের এই নিষ্কাম সাধনা বন্ধ হইলে ক্রুপের কারখানাও বেশী দিন খােলা থাকিবে না। আর যে শিল্প বাণিজ্যে উচ্চ শিক্ষার প্রয়ােজন হয় না দেশের উচ্চ শিক্ষিতকেও তাহাতেই রত করান, এই পৃথিবী জোড়া প্রতিযােগিতার যুগে, সমাজ নীতির কথা দূরে থাকুক, কেবলমাত্র ধন বিজ্ঞানের চোখও যে কত বড় অপব্যয় ; তাহাতে যে অসমস্যার সমাধান না হইয়া কেবল জটিলতার বৃদ্ধিই হয়, তাহা অল্প চিন্তাতেও বােঝা যায়। শােনা যায় অবস্থা বিশেষে বাঘও নাকি ধান খায়। কিন্তু সেটা ব্যাঘ্র সমাজের সে খুব উৎসাহের কারণ তাহা প্রবাদও বলে না। মনু ব্রাহ্মণের যে বৈশ্য বৃত্তির ব্যবস্থা দিয়াছেন তাহা অপদ্ধৰ্ম আনন্দের কারণ নয়। বাঙ্গলাদেশের যে মুষ্ঠিমেয় লােক এখন উচ্চ শিক্ষা পাইয়েছে তারও অর্ধেককে সে পথ হইতে ফিরাইয়া আনা, দেশে শিল্প বাণিজ্য প্রতিষ্ঠার উপায় নয়। সে পথ হইল দেশের উচ্চ শিক্ষাকে আরও বিস্তৃত করিয়া, এ যুগের শিল্প বাণিজ্যের যে বিশেষ শিক্ষা, যাহা কেবল উচ্চ শিক্ষিতের পক্ষেই সম্ভব, দেশে তাহার ব্যবস্থা করা। ( so ) দ্বিতীয় কথা কলিকাতার বিশ্ববিদ্যালয় ছেলেদের পুথিগত এমন কি ল্যাবনাটারীতে পরীক্ষাগত শিল্প ও বাণিজ্য শিক্ষার ব্যবস্থা করিলেই