পাতা:সমসাময়িক ভারত (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

33 প্ৰাচীন-ভারত সকল দেশের জল নিম্নস্থ সমতলভূমিতে প্রবাহিত হয় এবং তথায় তাহারা ক্ৰমে ক্রমে ভূমি সিক্ত এবং বহুসংখ্যক নদী উৎপন্ন করে। ভারতবৰ্ষীয় একটী নদীর এই বিশেষত্ব যে, তাহাকে ‘শীল”। নামে অভিহিত করা হয়, এবং এই নদীটী ঐ নামের একটি নির্বারিণী হইতে উদ্ভূত হইয়াছে। অন্যান্য নদীর সহিত এই নদীর পার্থক্য এই যে, ইহাতে নিক্ষিপ্ত কোন দ্রব্যই ভাসমান থাকে না। এবং আশ্চর্য্যের বিষয় এই যে, প্রত্যেক দ্রব্যই তলদেশে ডুবিয়া যায়। ভারতবর্ষের আকার এরূপ বৃহৎ বলিয়া কথিত হয় যে, এদেশে বহুসংখ্যক ভিন্ন ভিন্ন জাতি বাস করে। এই সকল বহুংখ্যক জাতির কোনটাই বিদেশ হইতে আগমন করে নাই, এবং সকলগুলিই এই দেশে উৎপন্ন হইয়াছে। অধিকন্তু, কোন সময়েই ভারতবর্ষ বিদেশ হইতে উপনিবেশ গ্ৰহণ অথবা বিদেশে উপনিবেশ প্রেরণ করে নাই। কিংবদন্তী হইতে আমরা ইহাও জানিতে পারি যে, আদিম কাল হইতে অধিবাসীরা স্বচ্ছন্দ-জাত ফল দ্বারা জীবন ধারণ এবং গ্রীকদিগের ন্যায় বন্য পশুর চৰ্ম্ম পরিধান করিত ; এবং স্বল্পায়াসে জীবিকা-নির্বাহের জন্য শিল্প ও অন্যান্য যন্ত্রাদি গ্রীকদিগের দেশের ন্যায়, ভারতবর্ষেও ক্রমে ক্ৰমে আবিষ্কৃত হইয়াছিল। বস্তুতঃ, অভাবই মানবকে এই সকল শিক্ষা দিয়াছে। ভারতবর্ষীয়দের মধ্যে যাহারা সৰ্ব্বাপেক্ষা পণ্ডিত, তাহারা কতকগুলি উপাখ্যান বর্ণনা করে। এই সকল উপাখ্যানের সংক্ষিপ্ত বৰ্ণনা করা আবশ্যক। তাহারা বলে যে, আদিমকালে