পাতা:সমসাময়িক ভারত (প্রথম খণ্ড).pdf/১৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Oo প্ৰাচীন-ভারত হস্তিগণ বৃক্ষের শাখা প্রশাখা ভক্ষণ করে। সৰ্পগণ ইহা অবগত থাকাতে তাহারা ঘন সন্নিবিষ্ট পত্রের মধ্যে লুক্কায়িত থাকে এবং হস্তী বৃক্ষ-শাখা ভগ্ন করিতে উদ্যত হইলে ছোঁ মারিয়া তাহার চক্ষু উৎপাটিত করে। পরে, গলদেশ বেষ্টন করিয়া পুচ্ছ দ্বারা হস্তীকে আঘাত করে। যখন ভারতীয় রাজা পোরস, আলেকজান্দারের সহিত যুদ্ধে আহত হইয়াছিলেন, তখন পোরসের হস্তীটি যত্নসহকারে পোরসের গাত্ৰবিদ্ধ তীরগুলি উৎপাটিত করিতে লাগিল। যখন দেখিল যে অতিরিক্ত রক্তআবে পোরস অত্যন্ত দুর্বল হইতেছেন, তখন ক্ষান্ত হইল। পরে, ধীরে ধীরে তঁহাকে নিজপৃষ্ঠ হইতে ভূমিতে রাখিয়া প্রহরীর ন্যায় দণ্ডায়মান রহিল । ভারতীয় সমুদ্রে একপ্রকার বাণ মৎস্য পাওয়া যায় ; ইহারা গভীর জলে থাকে এবং মৃত্যাবস্থায় জলের উপর ভাসিতে থাকে। এই মৎস্য কোন মনুষকে স্পর্শ করিলে মনুষ্য সংজ্ঞা শুন্য হয় এবং পরে প্রাণ ত্যাগ করে। , ভারতবর্ষে অনেক প্রকার দ্রব্য পাওয়া যায়। এই সকল উৎপাদিত দ্রব্যের মধ্যে কতকগুলি দৃষ্ট ভারতবর্ষের উর্বরতার প্রমাণ পাওয়া যায়। দেশে যথেষ্ট সৰ্প পাওয়া যায় এবং ইহারা অত্যন্ত বিষধর। কিন্তু এই দেশে আবার যথেষ্ট বিষন্ন ভেষজও পাওয়া যায়। অধিবাসীরা এই সকল বিষয় এমন সম্যকরূপে পরিজ্ঞাত আছে যে, কোন সৰ্পের দংশনে কোন ঔষধ প্রয়োগ করিতে হইবে, তাহ নিৰ্বাচন করিতে তাহদের বিন্দুমাত্রও দ্বিধা বােধ করিতে হয় না। ভারতবাসীরা বলে যে, কোন সৰ্প কাহাকেও দংশন করিয়া পুনরায় ভূগর্ভে প্রবেশ করিতে পারে না ; ঐ সৰ্পের স্ত্রী |ারতবর্ষের অন্তর্গত গঙ্গা নদীর যে স্থান পৰ্যন্ত অন্য কোন উপনদীর