পাতা:সমাজ-সংস্করণ.pdf/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

se সমাজ-সংস্করণ। উত্তম ও অধমে উৰ্দ্ধও নিম্নে প্রভেদ, সাধু ও অসাধুতেও সেইরূপ প্রভেদ। সাধু সঙ্গে যেমন নিকৃষ্ট প্রবৃত্তি মন্দীভূত হইয়া ধৰ্ম্ম প্রবৃত্তি উদ্দীপিত হয়, কুসংসর্গে তেমনই ধৰ্ম্ম প্রবৃত্তি খৰ্ব্বরিত হইয়া নিরুষ্ট প্রবৃত্তি উত্তেজিত হয়। এজন্য মহাত্মাগণ সাধু-সঙ্গ লাভে পুনঃ পুনঃ উপদেশ প্রদান করিয়া থাকেন । সাধুর লক্ষণ। যিনি সৰ্ব্বভূতের হিতাভিলাষী তিনিই সাধু। যিনি অস্থয়া পরতন্ত্ৰ ন হইয়া লোকের গুণ কীৰ্ত্তন করেন, তিনিই সাধু। যিনি আপন ও পর অভিন্ন জ্ঞান করেন, তিনিই সাধু । যিনি শান্ত-চিত্ত ও সৰ্ব্বভূতে সমদর্শী তিনিই সাধু। যিনি পরোপকারে আত্মশরীর পর্য্যন্ত বিসর্জন দিতে প্রস্তুত তিনিই সাধু। সাত্ত্বিকী কার্য্যে যাহার একান্ত চিত্ত তিনিই সাধু। যিনি হৃদিপদ্মাসনে অচিন্ত্য তদ্বিতীয় পুরুষকে ধারণ করিতে পারিয়াছেন তিনিই সাধু। যিনি পরমার্থ তত্ত্ব ভিন্ন বৃথা বাক্য উচ্চারণ করেন ন তিনিই সাধু । মরাল যদ্রুপ নীর হইতে ক্ষীর গ্রহণ করে, সাধু লোক তদ্রুপ সদসৎ বাক্য হইতে হিতকর বাক্য গ্রহণ করেন। সাধুলোক কাহারও বিদ্বেষ্ট নন, কাহারও অরি নহেন, এজন্য কেহ তাহার বিদ্বেষ করে না, কেহ তাহার শকুতাও করে না। সাধুদিগের বহুমূল্য বসনের প্রয়োজন নাই। র্তাহাদিগের যে যশঃ বিস্তার সেই উৎকৃষ্ট বসন। সাধুদিগের মূল্যবান ভূষণেরও অবশ্যকতা নাই, তাহাদিগের যে মৃদু সদালাপ সেই উৎকৃষ্ট ভূষণ ঃ অঁহাদিগের যে সৰ্ব্ব জীবে সদয় ব্যবহার সেই সুন্দর